Verification: 604f510ca357bb64

Technology News Bangla তে জানুন Nanotechnology সম্পর্কে।

Technology News Bangla তে জানুন Nanotechnology সম্পর্কে। আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে এমন এক রাজ্য যা আমরা কখনও খালি চোখে দেখতে পাই না। এই রাজ্যকে বলা হয় অণুবীক্ষণিক বা ন্যানো বিশ্ব। এই অণুবীক্ষণিক বিশ্ব প্রচণ্ড আকর্ষণীয় ও চমকে দেয়ার মতো। কি কি ঘটছে এখানে তা আমার ও আপনার কল্পনারও বাইরে। আর অফুরন্ত সম্ভাবনার দুয়ার খুলে রাখা আছে এই আণুবীক্ষণিক বা ন্যানো বিশ্বে।

যদি আপনাদেরকে বলা হয়, ভবিষ্যতে মানুষ যে বাড়ি নির্মাণ করবে এবং সেই বাড়ির বাইরের দেয়ালে যেই রং করা হবে সেই রংগুলো সোলার প্যানেল হিসেবে কাজ করবে। ঐ বাড়িগুলোতে যে ইট ব্যবহার করা হবে সেই ইটগুলো এক একটা ব্যাটারি হিসেবে কাজ করবে। তাহলে কি শুনে আপনি অবাক হবেন ? নাকি আপনি শুনে সেটা বিশ্বাস করবেন ? আসলে শুনতে অবাস্তব মনে হলেও আমরা কিন্তু সেই ভবিষ্যৎ থেকে আর বেশি দূরে নেই। আর এই সবই হতে চলেছে ন্যানো টেকনোলজির জন্য।

আসলে এই ন্যানো টেকনোলজি কি ? কি কি ভাবে এই টেকনোলজি আমাদের ধারনাকে ও পৃথিবীকে একেবারে পাল্টে দিতে পারে ? চলুত তাহলে technology news bangla তে ন্যানো টেকনোলজি নিয়ে আলোচনা করা যাক।

আরও পড়ুনঃ

১। পড়াশুনার পাশাপাশি ছাত্র ছাত্রীদের জন্য সেরা কয়েকটি পেসিভ ইনকামের আইডিয়া

২। ফ্রিলেন্সিং এর কোন কাজসমূহ শিখে খুব সহজে হাজার হাজার ডলার আয় করা যায়

আমাদের এই পৃথিবীতো আগের মতোই আছে। কিন্তু একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন আমাদের কাছে যেন এই পৃথিবীটা ধীরে ধীরে ছোট হয়ে যাচ্ছে। কারণ এই পৃথিবীতে একটা খুব গভীর এবং unexplored জগত আছে যেটা মানুষের খালি চোখে ধরা পড়ে না। মাইক্রোস্কোপ দিয়ে তাকালে তখন বুঝা যায়। আমাদেরকে আশ্চর্য করে দেবার মত মাইক্রোস্কোপিক এই জগতের সত্যিই একটা ক্ষমতা রয়েছে। তাই এখনকার এই Technology News Bangla ভাষায় আজকে আমরা মাইক্রোস্কোপিক জগতের থেকেও আরো গভীরের দিকে যাবো ও আলোচনা করবো।

আমরা জানার চেষ্টা করব ন্যানোস্কপিক অবিশ্বাস্য জগত সম্পর্কে। সাধারণত আমরা যে সমস্ত বস্তু নিয়ে নাড়াচাড়া করি ও কাজ করি এই ন্যানোস্কপিক জগত তার থেকেও আকৃতিতে কয়েক বিলিয়ন গুন ছোট। আর এটাই হল ন্যানো টেকনোলজি। ন্যানো হল পরিমাপের একক। এক মিটারের 100 কোটি ভাগের এক ভাগ হচ্ছে এক ন্যানো মিটার। অর্থাৎ  ন্যানো টেকনোলজি মানে এমন এক ধরনের টেকনোলজি যেটাকে ন্যানো স্কেলে বিবেচনা করে ডেভেলপ করা হয়েছে এবং যার ব্যবহার আমরা বাস্তব জীবনে করে কাজ করতে পারি।

এর মানে হলো অনেক ক্ষুদ্র বস্তুকে জানা এবং তাদেরকে ইঞ্জিনিয়ারড করা। ক্ষুদ্র মানে বলতে পারেন অনেক অনেক ক্ষুদ্র। ভাবতে পারছেন বিষয়টা ? আর ন্যানো টেকনোলজি হল বিজ্ঞানের অতি ক্ষুদ্র স্তরে একটা কিছু তৈরি করা। আসলে শুধু তৈরি করা না। ন্যানোমিটার স্কেলে পরিবর্তন, পরিবর্ধন, ধ্বংস বা সৃষ্টি সম্পর্কিত টেকনোলজিকেই ন্যানো টেকনোলজি বলে। অর্থাৎ ন্যানোমিটার স্কেলে পরিমিত যে কোন বিষয়ের বহুমাত্রিক টেকনোলজিকে nanotechnology engineering বা ন্যানো টেকনোলজি বলা যেতে পারে।

এখন কথা হচ্ছে কতটা ক্ষুদ্র স্তরে কাজ করে ন্যানো টেকনলজি ? এবার যদি জানতে চান যে এই নেনো স্কেল মানে কতটা ছোট। তবে সেটা আপনাদেরকে বোঝানোর জন্য কিছু উদাহরণ ব্যবহার করতে হবে। সোজাসুজি ভাবে বললে কেউই হয়তো বুঝবেন না যে এখানে কত ছোট জিনিসের কথা বলা হচ্ছে। আপনি শুনলে অবাক হবেন যে, একটা কলমের নিভ কয়েক মিলিয়ন ন্যানো মিটার চওড়া হয়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন আমরা ন্যানোমিটারের কাছাকাছিও যেতে পারলাম না।

একটা কাগজ প্রায় পঁচাত্তর হাজার ন্যানোমিটার মোটা হয়। মানুষের চুল পঞ্চাশ হাজার ন্যানোমিটার মোটা হয়ে থাকে। উদাহরণ দিয়ে বুঝাতে এরপরে ন্যানো স্কেলের সঙ্গে তুলনা করার জন্য অন্য কিছু পাওয়া যাবে না। সুতরাং ব্যাপারটাকে বোঝানোর জন্য একটু অন্যভাবে দেখতে হবে। ধরুন, যদি ন্যানোমিটার একটা ফুটবলের মত সাইজের হয় তাহলে করোনা ভাইরাস একটা মানুষের মতো সাইজের বড় হবে। সেই ভাবে যদি চিন্তা করেন তাহলে একটা খাওয়ার রুটি নিউজিল্যান্ডের মত বড় হবে এবং একটা হাঁস বা মুরগী আমাদের পৃথিবীর সাইজের হবে।

Technology News Bangla ভাষায় আরো সহজ ভাবে বললে যদি প্রত্যেকটা মানুষ একটা ন্যানোমিটারের মত হয় তাহলে পৃথিবীতে যত মানুষ আছে সবাইকে একটা খেলনা ছোট আকৃতির গাড়ির মধ্যে ভরে দেওয়া যাবে অনায়াসে। বাস্তব গাড়ির প্রয়োজন পরবেনা। আশাকরি এবার বুঝতে পেরেছেন যে এই ন্যানোটেকনোলজি বলতে কত ছোট লেভেলের কথা বুঝানো হয়েছে।

কিন্তু প্রশ্ন হল যে, ন্যানো টেকনোলজি তে যদি এত ক্ষুদ্র লেভেলে কাজ হয় তাহলে সেটা আমাদের জীবনকে কিভাবে প্রভাবিত করতে পারে ? আসলে এটা ultimately আমাদের বোঝায় যে এই ইউনিভার্স বা পৃথিবী যেখানে আমরা বসবাস করি সেটা বাস্তবে কিভাবে কাজ করে ? তা ছাড়াও আমরা এগুলোর সাহায্যে অনেক Interesting জিনিস কিন্তু করতে পারি। আমরা যখন এই ন্যানো স্কেলে প্রবেশ করি তখন আমরা ফিজিক্সের সেই সমস্ত জায়গাতে কাজ করতে পারি যেটা নরমালি পসিবল নয়। এমনকি এটাও মনে করা হয় ন্যানো সাইন্স এবং ন্যানোটেকনোলজি আমাদের আশেপাশের পরিবেশকে কমপ্লিটলি চেঞ্জ করে দিতে পারে।

পৃথিবীতে সমস্ত কিছুই অনু দিয়ে গঠিত। যে খাবারটা আমরা খাই, যে কাপড়টা আমরা পড়ি, যে বাড়িতে আমরা বসবাস করি, এমনকি আমাদের নিজেদের শরীরও সবই অনু দিয়েই তৈরি। এবার একবার কল্পনা করে দেখুন যে একটা গাড়ি কিভাবে কাজ করে। শুধুমাত্র গাড়ির ইঞ্জিনের পার্টসগুলো গাড়িতে রাখলেই হয় না। সে গুলোকে সঠিক জায়গামতো এবং সঠিকভাবে কাজ করতে হয়। তবেই একটা গাড়ি সুন্দর করে চলতে পারে।

আরও পড়ুনঃ

০১। কিভাবে অনলাইনে খুব সহজে ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন

০২। কিভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করবেন

ঠিক একইভাবে আপনার আশেপাশে যে সমস্ত বস্তু আছে সেগুলো যে অনু দিয়ে তৈরি হয়েছে সেই অণুগুলো যেভাবে আছে অর্থাৎ যেভাবে অ্যারেঞ্জ করা আছে সেটাই ঠিক করে যে ওই বস্তুটা কিভাবে কাজ করবে। ন্যানোটেকনোলজি কে ব্যবহার করে আমরা ঐ অণু পরমাণুর অ্যারেঞ্জমেন্টকে ম্যানুপুলেট করতে পারব এবং আমাদের ইচ্ছামত সেই জিনিসগুলোকে কাজে লাগাতে পারব। ঠিক যেভাবে একই ধরনের ইট, বালি, সিমেন্টকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের বাড়ি তৈরি করা যায়।

শুনতে স্বাভাবিক মনে হলেও কিন্তু আসলে ব্যাপারটা এতটা সিম্পল নয়। কারণ কোন বস্তুর প্রপার্টিও চেঞ্জ হয়ে যায় যখন সেই বস্তুটাকে ছোট করা হয়। যাকে কোয়ান্টাম এফেক্টস বলা হয়ে থাকে। এই কোয়ান্টম এফেক্টসই ডিসাইড করে যে, কোন বস্তুকে ছোট করলে মানে খুবই ছোট করলে তাদের অ্যাটিটিউড বা বিহেভিয়ার কেমন ধরনের হতে পারে। অতএব এই কোয়ান্টাম এফেক্টসকে কাজে লাগিয়ে আমরা বুঝতে পারি যে কোন পদার্থ ন্যানো স্কেলে কিভাবে কাজ করবে।

বিজ্ঞানীরা এই ন্যানো স্কেলে কোন পদার্থের প্রপার্টিকে এডজাস্ট করতে পারে এবং টিউন করতে পারে। তারা কয়েক বছর আগে থেকেই রিসার্চের এই কাজটা করে আসছেন। এই ভাবেই সম্ভব হয় কোন পদার্থের মেলটিং পয়েন্টকে চেঞ্জ করা। যেমন fluorescence। এমনকি Electrical Conductivity কেও চেঞ্জ করা যেতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা যদি এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে থাকেন তাহলে প্রশ্ন হল বাস্তব জীবনে আমরা এর কোন উদাহরণ দেখতে পাই না কেন ?

আপনার জানার জন্য মনে করিয়ে দেই আপনি হয়তো প্রত্যেকদিনই এমন কোন না কোন জিনিস ব্যবহার করেন যেটা এই ন্যানো টেকনোলজির সাহায্যেই বানানো সম্ভব হয়েছে। যেমন- মোবাইলের উপরে ব্যবহৃত ক্লিয়ার ন্যানো স্কেলে ফিল্ম। যেটাকে কাঁচের উপর কিংবা অন্য কোন সার্ফেসের ওপর লাগানো থাকে। যাতে সেগুলো Water-resistant, Scratch-resistant এবং অ্যান্টি রিফ্লেক্টিভ হতে পারে। যেমন- মোবাইল, দামি গাড়ি, এরোপ্লেন, জাহাজ এমনকি স্পেস ক্রাফটকেউ অনেক লাইটওয়েট মেটেরিয়াল দিয়ে তৈরি করতে হয়। যেখানে ন্যানো টেকনোলজি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

আপনি আরেকটু খেয়াল করলেই দেখবেন যে, আমাদের কম্পিউটারের মেমোরি চিপ এবং প্রসেসর কিভাবে ধীরে ধীরে ছোট হয়ে যাচ্ছে। ছোট হলেও কিন্তু এদের পারফরম্যান্স আগের থেকে অনেক বেশী ফাস্ট হয়েছে এবং হচ্ছে। এভাবে আমরা আমাদের স্মার্টফোন গুলোকেও আরো বেশি স্মার্ট বানাতে পারছি। এমনকি শুধুমাত্র আমাদের হাটার থেকেই যে এনার্জিটা তৈরি হবে সেটাকে ন্যানো জেনারেটরের সাহায্যে ব্যবহার করে আমরা ফোনকে রি- চার্জ করতেও পারব।

আমরা মেডিসিনকে একুরেটলি ঠিক সেই জায়গাতেই ন্যানো টেকনোলজির সাহায্যে পৌঁছে দিতে পারি শরীরের যে জায়গাতে আমাদের ট্রিটমেন্ট এর প্রয়োজন। যার সাহায্যে ট্রিটমেন্টকে আগের থেকে আরও বেশি ইফেক্টিভ বানানো সম্ভব। কারণ এখানে ঔষধের পরিমাণটাও কম লাগে এবং সাইডএফেক্টও কম আসে। এগুলোতো শুধুমাত্র কয়েকটা উদাহরণ মাত্র।

বর্তমানে একটা কম্পিউটারকে অর্থাৎ যদি আমরা ল্যাপটপের কথা ধরি তাহলে সেটাকে আপনি আপনার ব্যাগে করে নিয়ে চলে যেতে পারবেন। আর এটা আমাদের কাছে মোটেও কোন আশ্চর্যের ব্যাপার নয় খুবই নরমাল এবং সিম্পল একটা ব্যাপার মনে হয়। কিন্তু একটু ভাবেনতো, কয়েক দশক আগে পর্যন্ত এটাও ছিল একটা অবাস্তব আবিস্কার। তখন যে কম্পিউটারটা ব্যবহার হতো সেটা বর্তমান কম্পিউটার থেকে কয়েক লক্ষ গুণ ধীর গতির ছিল। আবার সেই কম্পিউটারগুলোর সাইজটাও একটা ঘরের মতো হতো। সে সময় মানুষ কখনো ভাবেওনি যে একটা কম্পিউটারকে একটা ব্যাগে করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। আর এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র মাইক্রোপ্রসেসরকে ছোট করার ফলে।

উদাহরণ হিসেবে ট্রানজিস্টার এর কথাই যদি আমরা দেখি। যার সাহায্যে এই মাইক্রোপ্রসেসর গুলো তৈরি হয়। সেটা মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে এত ছোট হয়ে গেছে যে আপনি কল্পনাও করতে পারবে না। মাত্র 2000 সালে যে ট্রানজিস্টার ব্যবহার করা হত তার সাইজ ছিল 250 ন্যানোমিটার। কিন্তু ২০২০ সাল আসতে আসতে আমরা যে ট্রানজিস্টার ব্যবহার করতে শুরু করে দিয়েছি যেগুলোর সাইজ হয়ে যায় মাত্র এক ন্যানোমিটারের নিচে।

বর্তমানে কম্পিউটার চিপ আরো শক্তিশালী, আরো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং আরো গতিশীল করার জন্য পরিবর্তন আনতে হচ্ছে কম্পিঊটার চিপ তৈরির ন্যানো টেকনোলজিতে। ইন্টারনেটে অনেক সময় আপনি দেখে থাকতে পারেন মোবাইলের স্ক্রিন যেটাকে মুড়িয়ে ভাঁজ করা যায়। মানে ফ্লেক্সিবল মোবাইল স্ক্রিন। না, আসলে আপনি যা পড়ছেন এগুলো কোন সাইন্স ফিকশন নয়। আবার গ্রাফিক্সের কোন কারসাজিও নয়। এগুলো একেবারেই রিয়েল। আর এই বাঁকানো বা রাউণ্ড স্ক্রিণগুলোকে তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হয় সেমিকন্ডাক্টার ন্যানো মেমব্রেন। এদের মনো ক্রিষ্টালাইজড ইস্ট্রাকচার মাত্র ১০০ ন্যানো মিটারের এর কাছাকাছি মোটা হয়।

এছাড়া ন্যানো টেকনোলোজি ব্যাবহার করে ইতিমধ্যে বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের বুলেট প্রুফ পোশাক বানিয়েছেন যা পরিধান করলে কেউ পিছন থেকে গুলি বা ছুরি মারলেও তা ঐ বেক্তির শরীরে ধুকবেনা।

এসব উদাহরণ তো ছিল শুধুমাত্র ডিজিটাল এবং মেডিকেল টেকনোলজির ব্যাপারে। কিন্তু এই ন্যানো টেকনোলজি কে ব্যবহার করেই আমরা পৃথিবীর বাড়তে থাকা সমস্যার সমাধানও করতে পারি। এটা মনে করা হয় যে, ন্যানো টেকনোলজি সিগনিফিকেন্টলি কন্ট্রিবিউট করতে পারবে আমাদের ইনভাইরনমেন্ট এবং ক্লাইমেট প্রটেকশানের ব্যাপারে। এই টেকনোলোজিকে ব্যাবহার করেই আমরা বিভিন্ন ধরনের র’মেটেরিয়ালস, পানি এবং এনার্জি কে বাঁচাতে পারবো। এমনকি বায়ুমণ্ডল থেকে গ্রীন হাউজ গ্যাসকেউ কমানো সম্ভব হতে পারে।

ন্যানো টেকনোলজিকে ব্যবহার করে যদি আমরা কোন পদার্থের স্ট্রেন্থকে বাড়াতে পারি তাহলে তাদের ডিউরোবিলিটিও অনেক বেশি হবে এবং অনেকদিন পর্যন্ত স্থায়ী হবে। ফলে কোন ইন্ডাস্ট্রিতে র’মেটেরিয়ালসের ব্যবহার কম হবে। শতকরা ৯৫ ভাগ সিলিকন বেসড সোলার প্যানেল গুলো যেগুলো কমার্শিয়ালি ইউজ করা হয় সেগুলো কে তৈরি করার জন্য ন্যানোটেকনোলজি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর এই টেকনোলজিকে ব্যবহার করেই এমন এক ধরনের পেইন্ট বা রঙ তৈরি করা যেতে পারে যে রঙকে আপনি আপনার বাড়ির বাইরে লাগালে সেটা সোলার প্যানেল হিসেবে কাজ করবে। আর আপনার পুরো বাড়িটাই তখন সোলার এনার্জি থেকে ইলেকট্রিক্যাল এনার্জিতে কনভার্ট করতে পারবে।

আরও পড়ুনঃ

১। কিভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করবেন

২। জন্ম নিবন্ধন বাংলা থেকে ইংরেজিতে করবেন কিভাবে

কিছু সাইন্টিস্ট এই টেকনোলজিকে ব্যবহার করে সোলার ক্রিস্টালও তৈরী করেছে। যেটাকে কোন লিকুইড এর মধ্যে মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হল যে, এই রং বা লিকুইডটি তাহলে মার্কেটে এভেলেবেল নয় কেন। আমরা এগুলো মার্কেট থেকে কিনতে পারি না কেন। কারন এই ন্যানো ক্রিস্টালকে তৈরি করার জন্য আবার এমন একটা ম্যাটেরিয়ালকে ব্যবহার করা হয়েছে সেটা হল ক্যাডমিয়াম। যেটা একটা খুবই Toxic metal অর্থাৎ বিষাক্ত ধাতু। এই জন্য এই রঙকে বাজারে বিক্রি করার জন্য কোন দেশের সরকারই পারমিশন দেবেনা।

তাই বিজ্ঞানীরা একটা নতুন কোন পদার্থর সন্ধান খুঁজছেন যার সাহায্যে এই রঙকে বানানো যেতে পারে এবং যা সাধারণ মানুষের কাছে একেবারে সহজে ব্যাবহারযোগ্য হবে। তাহলে আপনার সম্পূর্ণ বাড়িটাই একটা সোলার প্যানেল হিসেবে কাজ করতে পারবে। আবার আপনি এই সোলার এনার্জিটাকে ষ্টোর করবেন কোথায়। আর এর জন্য একটা স্পেশাল ব্যবস্থাও রয়েছে।

ন্যানোটেকনোলজি কে ব্যবহার করে কোন ইটকে এমনভাবে তৈরি করা যেতে পারে যে সেই ইট ব্যাটারি হিসেবে কাজ করতে পারে। ব্যাটারি ঠিক নয় বলতে পারেন সেটা হবে সুপার ক্যাপাসিটর। এটাই হল আসল ন্যানো টেকনোলজি। তবে এই ব্যাপারে আর বিস্তারিত কোন ইনফরমেশন দেয়া যাচ্ছেনা। কারণ এটা ডেভেলপমেন্টের খুব চূড়ান্ত স্টেজে রয়েছে। যদি সাকসেসফুল হয় তাহলে অনেক কিছুই পাল্টে যেতে পারে। আর মানুষ বর্তমানে যে দ্রুত গতিতে টেকনোলজি ডেভেলপ করছে। মনে হয় না যে আমরা ভবিষ্যতের পৃথিবী থেকে খুব একটা দূরে আছি।

Technology News Bangla তে আলোচনা এ পর্যন্তই। আশা করি ইনফরমেশনগুলো আপনাদের কাছে অনেক ভাল লেগেছে। আরও নিত্য নতুন Technology News শুধুমাত্র বাংলায় পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।

আরও পড়ুনঃ NID কার্ড হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে গেলে কিভাবে অনলাইন কপি বের করবেন ও নতুন করে তুলবেন

Leave a Comment

error: Content is protected !!