Passive income ideas for students. আমাদের বাংলাদেশে প্রত্যেকটি Student এর মধ্যেই টাকা উপার্জনের প্রচণ্ড চাহিদা রয়েছে। কিন্তু ইনকাম করার জন্য সঠিক সোর্স বা সঠিক গাইডলাইন জানা না থাকায় ছাত্র অবস্থা থেকেই প্রবল ইচ্ছা শক্তি থাকা সত্তেও টাকা উপার্জন করতে পারি না। একটি ছাত্র যখন কলেজে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন তখন তাদের পড়াশুনার খরচের টাকা অনেকে বাবা মায়ের কাছ থেকে নিতেই অনেকে বোঝা মনে করেন। নিতে সংকোচ বোধ করেন।
অপরদিকে আমাদের বাইরের দেশ যেমন ইউরোপ আমেরিকাতে ছাত্র জীবন থেকেই বা অল্প বয়স থেকেই টাকা উপার্জনের ব্যবস্থা থাকলেও আমাদের বাংলাদেশের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। তাই আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এখানে খুব সহজে করতে পারা যায় এমন ৫টি Passive income ideas এবং গাইডলাইন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
যার মাধ্যমে একজন ছাত্র তার পড়াশুনার পাশাপাশি খুব অল্প বয়স থেকেই ঘরে বসে খুব সহজে দীর্ঘ মেয়াদী টাকা উপার্জন করতে পারেন। পারবেন নিজের পড়ার খরচ চালাতে এবং পাশাপাশি পারবেন তার পরিবারকেও সহযোগিতা করতে। আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোনটি দিয়েও আপাতত Passive income শুরু করতে পারেন।
Passive income meaning in Bengali অর্থাৎ প্যাসিভ ইনকাম কাকে বলে?
Passive income মানে বুঝাতে সহজ ভাষায় বলতে গেলে ধরুন, অনেকে নির্দিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরী করে টাকা উপার্জন করেন। তাদেরকে কিন্তু অফিসে যেতে হয় এবং দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শ্রম দিতে হয়। তারপর মাস শেষ হলে তিনি একটি নির্দিষ্ট পরিমান সেলারি ও সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু Passive income এর বেলায় আপনাকে কোন একটি কাজের জন্য নির্দিষ্ট করে সময় নিয়ে কোন কাজ করতে হবে না।
অর্থাৎ অফিসিয়ালি কোন জব করা লাগবে না। এখানে যিনি টাকা উপার্জন করবেন তাকে সরাসরি অফিসিয়াল জবের মত সেই কাজে শারীরিক ভাবে ইনভল্ভ থাকার প্রয়োজন পড়ে না। অর্থাৎ আপনি একটি কাজ একবার করে রেখে দিবেন এবং সেই কাজটি যতদিন থাকবে ততদিন সেখান থেকে নিয়মিত অর্থ আপনার একাউণ্টে জমা হচ্ছে। এটাকেই বলে Passive income. সুতরাং বুঝতেই পারছেন কতটা সহজ এই Passive income ideas for students.
আরও পড়ুনঃ ফ্রিলেন্সিং শিখে কিভাবে সুন্দর একটি ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে পারবেন।
আবার Passive income করা খুব সহজ বলতে এমন না যে আপনাকে কোন পরিশ্রমই করতে হবে না। অবশ্যই আপনাকে passive income এর পথ তৈরির জন্য প্রথমে কিছুদিন আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে এবং আপনার কাজটিকে ভ্যালু দিতে হবে। Passive income করতে হলে আপনাকে ভ্যালুএবল কিছু করতে হবে। যা সাধারন চাকরির মত সবার সাথে সম্পর্কিত নয়। এটি আপনাকে নিজে থেকে তৈরি করতে হবে। তাই প্রয়োজনে আগে কাজটি ভালোভাবে শিখে তারপর শুরু করতে হবে।
Passive income শুরু করার মূল জিনিসটিই হল জানা বা জেনে শুরু করা। নচেৎ আপনি সফল হতে পারবেন না। ইংরেজিতে একটি কথা আছে, Practice makes a man perfect অর্থাৎ অনুশীলন একটি মানুষকে নিখুঁত করে তোলে। আপনি যত জানবেন আপনার ততটাই সফল হওয়ার চান্স রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেই সেরা ০৫ টি passive income ideas for students.
০১। ইউটিউবঃ Passive income গুলোর মধ্যে ইউটিউবিং হল বর্তমান সময়ে সবচাইতে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। অনেকে আছেন শুধুমাত্র শখের বসেই একটি ইউটিউব চেনেল খুলে বসেন। কিন্তু অনেকেই এটা জানেন না যে, ইউটিউব থেকে হিউজ পরিমান টাকা উপার্জন করা সম্ভব। শুধু জানতে হবে সঠিক গাইডলাইন। তাহলে আপনিও এখান থেকে অন্য কাজের পাশাপাশি ভাল একটি Passive income জেনারেট করতে পারবেন।
আপনি একটু চিন্তা করে দেখুন আপনি ইউটিউবে প্রতিদিন অন্যের ভিডিও দেখে কি পরিমাণ সময় ব্যয় করছেন। আসলে এর মাধ্যমে একদিকে আপনার যেমন জ্ঞান বাড়ছে বা আপনি কিছু জানতে পারছেন। তেমনি অন্যদিকে যিনি চেনেল খুলে সুন্দর করে ভিডিওটি আপলোড করে আপনাকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এজন্য তিনিও কিন্তু অনেক লাভবান হচ্ছেন। অর্থাৎ তিনি এখান থেকে একটা Passive income জেনারেট করছেন। তাই আমি আপনাকে পরামর্শ দেব আপনি পড়াশুনার পাশাপাশি এটা শুরু করেন। এখানে আপনাকে অফিসিয়াল জবের ন্যায় ঘড়ি ধরে কোন কাজ করতে হবেনা।
আপনি নিজেকে নিয়ে একটু চিন্তা করে দেখুনতো ? আপনি এমন কিছু কি করতে পারবেন না যা থেকে একদিকে মানুষ উপকৃত হবে এবং পাশাপাশি আপনাকে সাপোর্ট করবে ? বর্তমানে একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলা কিন্তু খুবই সহজ। ইউটিউব হল গুগলের একটি প্রতিষ্ঠান। আপনার একটি জিমেইল একাউন্ট থাকলেই যে কোন নাম দিয়ে আপনি একটি ইউটিউব চেনেল খুলতে পারবেন।
তবে ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করতে হলে আপনাকে ভালো মানের কপিরাইট মুক্ত ভিডিও আপলোড করা জানতে হবে। যার ভিডিও কুয়ালিটি এবং কন্টেন্ট এর কুয়ালিটি যত সুন্দর হবে ও তথ্য নির্ভর থাকবে তার ভিডিও তত বেশী ভিউ হবে। তাই এমন ভাবে ভিডিও বানাতে হবে যাতে একজন ভিজিটর ভিডিওটি পছন্দ করে দেখতে থাকেন এবং আপনার চ্যানেলটিকে লাইক ও সাবস্ক্রাইব করেন।
তারপর ইউটিউব থেকে মনিটাইজেশন নিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারেন। Passive income এর জন্য এটি একটি সবচাইতে সহজ ও লাভজনক আইডিয়া। একটি ইউটিউব চ্যানেলের মনিটাইজেশন নিতে হলে বর্তমানে নিয়ম অনুসারে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং চার হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হয়। আর এই শর্তগুলো আপনাকে পূরণ করতে হবে মাত্র এক বছর সময়ের মধ্যে। আপনি প্রথম বছর না পারলে পরের বছরে আবার শুরু করতে পারবেন। তবে ভালো মানের কনটেন্ট হলে তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই টার্গেট পূরণ হয়ে যায়। এরপর থেকেই আপনার প্যাসিভ ইনকাম শুরু হবে এবং ধীরে ধীরে সেই ইনকাম অনেক গুন বাড়তে থাকে।
কিভাবে একটি ইউটিউব চেনেল খুলতে হয় এবং কিভাবে আপনি এখান থেকে ইনকাম করবেন সে সম্পর্কে ইউটিউবে অনেক ভিডিও দেয়া আছে। আপনি ফ্রিতেই সেগুলো দেখে দেখে শিখে নিতে পারবেন।
০২। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ বর্তমান সময়ে ইহা Best passive income ideas for students. প্যাসিভ ইনকাম এর জন্য সবচাইতে বেশী ইনকাম আসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে। আমাদের দেশে অনেক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার আছেন যারা প্রতি মাসে 80 হাজার থেকে ০১ লক্ষ 20 হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যম যেমন- ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, লিঙ্কডিন, পিন্টারেস্ট ইত্যাদি সামাজিক মাধ্যমে একটি প্রোফাইল তৈরি করে সেটার ফলোয়ার বাড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করা।
অর্থাৎ আপনি ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যাবহার করে কোন একটি কোম্পানির হয়ে তাদের প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করবেন। তার বিনিময়ে আপনি একটি পার্সেন্টেজ পাবেন সেই কোম্পানি থেকে। প্রথমদিকে কিছুটা কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু একবার যদি একটি প্রোফাইল দাঁড় করাতে পারেন তাহলে আর কোন কথাই নেই। আপনার ইনকাম আসতেই থাকবে। শুধু মাঝে মাঝে প্রোফাইলটি সচল রাখার জন্য কিছু কাজ করতে হবে।
এজন্য আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর সাথে যুক্ত হতে হবে। যেমন পৃথিবীর সব থেকে বড় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট হচ্ছে অ্যামাজন। এছাড়া আরও আছে যেমন- ইবে, সপিফাই, ক্লিকব্যাঙ্ক, আলিবাবা ইত্যাদি। আর বাংলাদেশের মধ্যে দারাজ, সহজ বিডি, বহুব্রিহি, ইভেলি ইত্যাদি সাইট রয়েছে। অ্যাফিলিয়েট থেকে সেল বা বিক্রয় বেশী হওয়ায় অনেক কোম্পানিই তাদের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালু করছে। তাই আপনিও এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অন্যান্য পেশার পাশাপাশি একটি Passive income জেনারেট করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ
আপনি কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেনঃ
আপনি কোন একটি কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন হবার পর আপনাকে একটি স্পেশাল লিংক প্রদান করা হবে। আপনি সেই লিংকটিকে আপনার ইউটিউব চ্যানেল ও আপনার ওয়েবসাইট সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে পারবেন। আবার ইউটিউব চেনেলে সেই প্রডাক্টের ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে পারেন। কেউ যদি আপনার শেয়ার করা লিংকটিতে প্রবেশ করে কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করে তাহলে সেই কোম্পানি আপনাকে একটি পার্সেন্টেজ প্রদান করবে।
তাই আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ও ফেসবুক পেইজ সহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে যদি প্রচুর পরিমানে সাবস্ক্রাইবার এবং ফলোয়ার বা ভিউয়ার থাকে। তাহলে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে খুবই ভালো একটা এমাউন্ট জেনারেট করতে পারবেন। তাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ ভালো করতে চাইলে আপনার যতটা সম্ভব অডিয়েন্স বাড়াতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনি পেইড ও ফ্রি এই দুই ভাবেই শিখতে পারেন। প্রাথমিক অবস্থায় আপনি ফ্রিতেই শিখে শুরু করুন। আপনি ফ্রিতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে চাইলে ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর উপর অনেক ভাল টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন।
০৩। ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রয়ঃ ডিজিটাল প্রোডাক্ট মানে হল যা হাতে ছোঁয়া যায় না। কিন্তু ব্যাবহার করতে পারবেন, দেখতে ও পড়তে পারবেন। যেমন- ই-বুক, অ্যান্টি ভাইরাস, কম্পিউটার প্রোগ্রাম, অনলাইন কোর্স, সফটওয়্যার, অ্যাপ্স ইত্যাদি। আপনি ই বুক, অ্যাপ্স, ওয়েবসাইট ডেভেলপ ও ডিজাইন, লোগো তৈরি, টি শার্ট ডিজাইন যা আপনি একবার তৈরি করে বারংবার বিক্রি করতে পারবেন। অথবা ফেসবুকে একটি প্রফাইল খুলে আপনার নিজস্ব প্রডাক্ট বিক্রি করতে পারেন। আপনি যে কোন বিষয় যেটা সম্পর্কে পরিস্কার জ্ঞান আছে সেটার উপরে একটি বই লিখে সেটাকে ই বুকে রূপান্তরিত করে সেই বইটা অ্যামাজন সহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে বিক্রি করতে পারেন।
আপনি অ্যাপ্স তৈরি করে গুগল প্লে স্টোরে একটি একাউন্ট খুলে পাবলিশ করতে পারেন। আপনি বিভিন্ন টি-শার্ট ডিজাইন, হরেকরকমের লোগো এবং কেমেরায় তোলা নিজের ইমেজ তুলে সেগুলো বিভিন্ন বিক্রির ওয়েবসাইট গুলোতে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে সেগুলো বিক্রি করতে পারেন। এভাবে এখান থেকে প্রতিমাসে একটি ভালো পরিমাণ Passive income জেনারেট করা সহজ। কিন্তু এই প্রোডাক্ট গুলো তৈরি করতে হলে প্রথমে আপনাকে ভাল মানের স্কিল ডেভেলপ করতে হবে ও শিখতে হবে। অর্থাৎ আপনার স্কিল যত ভালো ও উন্নত হবে। এই সেক্টর থেকে ইনকাম করা ততটাই সহজ হবে আপনার জন্য।
০৪। অনলাইন কোর্স বিক্রিঃ আপনি কোন একটি স্কিল নিজে শিখে বা আপনি কোন একটি বিষয় খুব ভাল জানেন সেটার একটি পূর্নাঙ্গ টিউটোরিয়াল বানিয়ে সেই স্কিলটা অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে আপনার স্কিলের উপর অনেক দক্ষ এবং ভালো হতে হবে। আপনার শেখানোর মধ্যে আলাদা কিছু নতুনত্ব ও স্পেশালিটি থাকতে হবে। কারণ আপনি যেই কোর্সটি বিক্রি করছেন সেটা দেখা গেল ইউটিউবে কোন একজন ইউটিউবার ফ্রিতেই শিখাচ্ছে।
তাই এখানে আপনার এক ধরনের ফেইস ভ্যালু থাকতে হবে। কারণ মানুষ কখনই আপনার কোর্সটি শুধু শুধু টাকা দিয়ে কিনতে যাবে না। অনলাইন কোর্স বিক্রি করা যায় এমন ভালো সাইট হচ্ছে স্কিল শেয়ার, ঘুরি লের্নিং, টেন মিনিট স্কুল ইত্যাদি। অথবা আপনি একটি ওয়েবসাইট খুলেও অনলাইন কোর্স চালু করতে পারেন। বর্তমানে করোনা মহামারীর কারণে মানুষ অনলাইন কোর্সগুলোর গুরুত্ব অনেকটাই বুঝতে শিখেছে। সুতরাং অনলাইন প্ল্যাটফরম টিচিং এর জন্য একটি ভাল মাধ্যম হিসেবে মানুষের মধ্যে আস্থার জায়গা তৈরি করে নিয়েছে। তাই এটাও হতে পারে Best passive income ideas for students.
০৫। ব্লগিংঃ এখন যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করব সেটা হল ব্লগিং। এই ব্লগিং হলো Passive income এর সবচাইতে সহজ এবং সহজে ইনকাম করার একটি মাধ্যম। ব্লগিং এর ইনকামটা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। তাই ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে হয়। আপনি বর্তমানে এই আর্টিকেলটি যেই ওয়েবসাইটে ঢুকে পড়ছেন সেটা একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট। তাই এই আর্টিকেলটি পড়ার পাশাপাশি ব্লগিং কি সেটা সম্পর্কে আপনি একটি পরিস্কার ধারনাও পেয়ে গেলেন। আপনার যদি লেখালেখি করার অভ্যাস থাকে তাহলে বাংলায় অথবা ইংরেজিতে কিংবা অন্য কোন ভাষায় যে কোন একটি টপিক নিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার ব্লগিং বা আর্টিকেল রাইটিং।
তারপর একটা সময়ে যখন আপনার ব্লগের ভিজিটর সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে তখন গুগল থেকে এ্যাডসেন্স এর আবেদন করতে পারেন। আর এ্যাডসেন্স এর অনুমোদন পাওয়া মাত্রই শুরু হবে আপনার ইনকাম। অবশ্য ব্লগিং করার জন্য আপনাকে একটি ডোমেইন ও একটি হোস্টিং দরকার হবে। যা অনলাইনে Hosting সাইট থেকে কিনতে হবে। আর ফ্রিতে শুরু করতে চাইলে আছে গুগলের ব্লগার সাইট। আপনার একটি জিমেইল একাউন্ট থাকলেই ব্লগারে একটি ওয়েবসাইট খুলে ব্লগিং শুরু করতে পারেন।
তবে ব্লগিং শুরু করার আগে ব্লগিং সম্পর্কে আগে ভালো করে সঠিক ধারণা ও দক্ষতা অর্জন করে নিতে হবে আপনাকে। আপনাকে SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে শিখতে হবে। কিভাবে একটি ব্লগ সাইট খুলে শুরু আপনি ব্লগিং করতে পারেন সে সম্পর্কে ইউটিউবে অসংখ্য ভিডিও দেয়া আছে। আপনি সেখানে ব্লগিং লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন অসংখ্য ভিডিও টিউটোরিয়াল। চাইলে সেখান থেকে ভিডিও দেখে আপনার স্কিলটা ডেভেলপ করে নিতে পারেন।
এছাড়াও ব্লগিং কিভাবে করতে হয় (একদম ইনকাম করা পর্যন্ত) বিস্তারিত ধারনা নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ আর্টিকেল পেতে চাইলে আমাদের মেইল করে অথবা নিচে কমেন্টে লিখে জানান। আপনাদের আগ্রহের দিক বিবেচনা করে এই ওয়েব সাইটে আর্টিকেল প্রকাশ করা হবে।
এখানে পাঁচটি passive income ideas for students নিয়ে কিছুটা ধারনা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র। এখন শিখার দায়িত্বটা একান্তই আপনার কাছে। এখন আপনি সিদ্ধান্ত নিন আপনি কোনটা দিয়ে শুরু করবেন আপনার Passive income ক্যারিয়ার। তবে প্রত্যেকটির জন্যই আপনার কাজকে গুরুত্ব দিতে হবে। তার সাথে আপনার পরিশ্রম যুক্ত করে শুরু করতে পারেন আপনার Passive income. এখানে কোথাও বুঝতে কোন সমস্যা হলে নিচের কমেন্টে প্রশ্ন করে আমাদেরকে জানাতে পারেন। আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।