epassport bd and online passport renew process with MRP to ePassport. MRP অর্থাৎ Machine Readable Passport টি এখন ই-পাসপোর্টে রূপান্তরিত করেছে সরকার। যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ নিঃসন্দেহে বলা যায়। এতে করে ইমিগ্রেশানে সময় অনেক কমে যাবে এবং স্বচ্ছতা আরও দৃঢ় হল। অনেকেই আছেন যারা MRP Passport নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন আবার অনেকে করবেন বলে পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেন।
How to Get E-Passport in Bangladesh:
মূলত দেশের বাইরে যেতে হলেই পাসপোর্ট করতে হয়। তাই অনেকে নতুন করে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে চান। আবার অনেকের পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাই পুনরায় তাদের MRP Passport টি রিনিউ করতে চাচ্ছেন। উভয়েই এখন থেকে পুনরায় MRP Passport এর পরিবর্তে epassport bd এর জন্য আবেদন করতে পারবেন নির্ধারিত ফি প্রদানের মাধ্যমে।
এখানে আরো একটি সুখবর হলো যে, এখন থেকে যে কেউ পূর্বের পাঁচ বছর মেয়াদের পরিবর্তে নতুন করে দশ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। যার পাতা হবে ৪৮ টি কিংবা ৬৪ টি। আর এই আবেদনের সমস্ত প্রসেসই আপনি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে আগের মত সরাসরি পাসপোর্ট অফিসের সামনে গিয়ে সিরিয়ালের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না এবং বাড়তি কোন ঝুক্কি ঝামেলা পোহাতে হবে না।
কিন্তু অনেকেই না বুঝে ও না জেনে দালালের মাধ্যমে অনেক টাকা খরচ করে তারপর পাসপোর্ট সংগ্রহ করে থাকেন। মানে অনেকের মধ্যে এই ভ্রান্ত ধারণাই ছিল যে, দালাল ছাড়া বুঝি পাসপোর্ট পাওয়া যায় না। এই ধারণাটা এখন সম্পুর্ন রূপে ভুল ধারনা। এখন থেকে আপনাকে আর কোন দালাল ধরতে হবে না। আপনি সরাসরি ঘরে বসেই ফরম পূরণ করা সহ সকল প্রসেস সম্পন্ন করতে পারবেন অনলাইনে।
এখানে দেখানো পদ্ধতি গুলো ফলো করে আপনি খুব সহজেই MRP Passport থেকে epassport bd নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে কোন রকম সমস্যায় পড়তে হবে না এবং সমস্ত প্রসেস সম্পন্ন করা হয়ে গেলে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ আপনাকে একটি ইমেইলের মাধ্যমে আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহের তারিখ জানিয়ে দিবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
আরেকটি কথা এখানে বলে নেয়া দরকার। সেটা হল, অনেকের মনের মধ্যে হয়তোবা বিভিন্ন রকম প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তাই বলব তথ্যগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়লেই আপনাদের প্রশ্নের উত্তর সমূহ আশা করি পেয়ে যাবেন।
প্রথমেই আপনার ডিভাইসের গুগোল ক্রোম ব্রাউজার টি ওপেন করুন। তারপর অ্যাড্রেস বারে গিয়ে টাইপ করুন epassport. তারপর এন্টার করুন বা সার্চ করুন। তাহলে সার্চ রেজাল্টে সবার উপরে বাংলাদেশ সরকারের epassport bd এর এই https://www.epassport.gov.bd লেখা মূল ওয়েবসাইট টি আপনার সামনে চলে আসবে। এখন আপনি এই প্রথমের লিংকটিতে ক্লিক করলেই নিচের চিত্রের ন্যায় e-Passport application online এর মূল ওয়েবসাইট বা ল্যান্ডিং পেইজটি আপনার সামনে হাজির হয়ে যাবে।
এখানে আপনাকে আবেদনের শুরুতে যে কোন একটি জিমেইল দ্বারা ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে লগইন করে নিতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের এই প্রক্রিয়াটি একদমই সহজ। তবে, আপনার আবেদন শুরু করার আগে সাইটের কোথায় কি আছে তা ভালো করে অবশ্যই দেখে নিন।
চাইলে আপনি সাইটটিকে বাংলা ভার্সনে করে নিতে পারবেন এবং লেখাগুলোকেও বড় কিংবা ছোট করে নিতে পারবেন (পেইজের উপরের দিকে ডান কোনায় দেখুন)। সব রকম সুবিধাই রাখা হয়েছে এই সাইটে। এখানে থাকা বিভিন্ন মেনুতে ক্লিক করে করে সবগুলো একবার করে দেখে নিতে পারেন। তাহলে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।
epassport bd Online Registration Portal এর কোন মেনুতে কি আছে তার বিবরণঃ
01. APPLY ONLINE: e-Passport এর আবেদন করার জন্য এই মেনু হতেই আপনাকে শুরু করতে হবে। এখানে বাংলাদেশী এবং বিদেশী দুই ধরনের বেক্তি এই epassport bd এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। যা এই মেনুতে ক্লিক করলেই আপনি সবকিছু বুঝতে পারবেন।
02. 5 STEPS TO e‑PASSPORT: ওয়েবসাইটের দ্বিতীয় এই মেনুতে e-Passport এর আবেদনের জন্য ৫টি সহজ ধাপের বর্ণনা দেয়া আছে। মূলত কিভাবে একজন বেক্তি খুব সহজে নিজে নিজেই epassport bd এর জন্য আবেদন করবেন তার বর্ণনা দেওয়া আছে। আপনার কাছে ইংরেজিতে লেখা তথ্য বুঝতে সমস্যা মনে হলে বাংলা ভার্সনে ক্লিক করে সেটা পড়ে নিতে পারেন।
03. URGENT APPLICATIONS: কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোন নাগরিকের অতীব জরুরী অর্থাৎ খুবই কম সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট সংগ্রহের প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত ও ফি পরিশোধ সাপেক্ষে সেই বেক্তি অতীব জরুরী পাসপোর্ট সেবা টি গ্রহণ করতে পারবেন। মূলত তাঁদের কথা মাথায় রেখে সমস্ত ইনফরমেশন এখানে দেওয়া হয়েছে। যা ফলো করে একজন আর্জেন্ট পাসপোর্ট গ্রহীতা সবকিছু জেনে নিতে পারেন।
04. INSTRUCTIONS: এখানে bangladesh (bd) e-Passport এর ফর্ম পুরনের নির্দেশাবলী সম্পর্কে জানতে পারবেন। যা সিরিয়ালি নির্দেশনার বর্ণনা করা হয়েছে। এটা নিয়মিত আপডেট করা হয়। তাই এখানে দেয়া নির্দেশনাগুলো একটু সময় নিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিতে হবে।
05. PASSPORT FEES: এখানে e-Passport করার জন্য যাবতীয় ফি সংক্রান্ত তথ্যর বিবরণ দেওয়া আছে। অর্থাৎ আপনি কত দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার পাসপোর্ট টি নিতে চান তার উপর ভিত্তি করে এখানে সমস্ত ফি সমূহ ব্যাংকের তথ্যসহকারে দেওয়া আছে। যাতে করে আপনার সুবিধামতো ফি জমা দিয়ে আপনার bd e-Passport টি নিতে পারেন। আপনি সকল সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক থেকে চালানের মাধ্যমে e-Passport এর ফি (১৫% ভ্যাট সহকারে) পরিশোধ করতে পারবেন।
06. CHECK STATUS: যারা অলরেডি epassport bd এর জন্য আবেদন করেছেন তাদের বর্তমান অবস্থা বা স্ট্যাটাস এখানে দেখার জন্য সুবিধা রাখা হয়েছে। এখানে আপনার আবেদনের আইডিটা (xxxx-xxxxxxxxxx) দিয়ে আপনার পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
07. CONTACT: এই অপশনটি মূলত অনলাইনের মাধ্যমে কোন সাপোর্ট বা ইনফরমেশন জানতে পারেন তার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এখানে কিছু টপিক বা প্রশ্ন নির্বাচন করেই আপনি বাকি ইনফরমেশন গুলো দেখে নিতে পারেন।
এখন আমরা সরাসরি চলে যাব E‑Passport Online Registration Portal এর মূল মেনু APPLY ONLINE এ। এই লিঙ্কে প্রবেশ করামাত্র দেখতে পাবেন Step-1 এ আপনার অবস্থান নির্বাচন করতে বলছে। অর্থাৎ আপনি কোন দেশ থেকে epassport bd এর জন্য আবেদন করছেন। তারপর আপনার জেলা ও থানা সিলেক্ট করে Continue তে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
Step-2 তে এসে আপনার একটি ইমেইল এড্রেস দিতে বলা হবে। আপনার পছন্দ মত একটি ইমেইল এড্রেস দিয়ে নিচের ⊗ I am human লেখার পাশের চেক বক্সটিতে টিক মার্ক দিলেই একটি ক্যাপচা পূরণ করতে বলবে। আপনার ইমেইল ও ক্যাপচাটি পূরণ করে পুনরায় Continue তে ক্লিক করুন।
এখানে একটি ইনফরমেশন দিয়ে রাখা দরকার। জানতে পারা গেছে যে, একটি নির্দিষ্ট ইমেইল দিয়ে সর্বোচ্চ 6 টি আবেদন করতে পারবেন আপনারটা সহ।
তারপর Step 3: Enter your account information পেইজে চলে আসবেন। এখানে আপনার অ্যাকাউন্ট ইনফরমেশন প্রোভাইড করতে হবে। অর্থাৎ ইমেইল, পাসওয়ার্ড, Personal Information, কন্টাক্ট নাম্বার দিয়ে নিচের ⊗ I am human লেখার পাশের চেক বক্সটিতে টিক মার্ক দিয়ে Create Account এ ক্লিক করতে হবে।
তাহলে Step 4: Active e-Passport account অপশনে আপনার দেয়া মেইলে একটি একটিভিশন লিংক চলে গেছে জানাবে। যা আপনার দেয়া ইমেইলের ইনবক্সে এ গিয়ে চেক করে সেই একটিভিশন লিংকে ক্লিক করে কনফার্ম করে একটিভ করতে বলবে। আপনি সেই লিঙ্কটি একটিভ করা মাত্রই Enter Online Registration Portal এ নিয়ে চলে আসবে।
এখানে আপনার ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে Continue তে ক্লিক করুন। সফলভাবে সাইন ইন করা হয়ে গেলে আপনার নামে নিচের চিত্রের ন্যায় ওয়েলকাম পেইজ আসবে। এখন এই পেইজে থাকা লাল তীর চিহ্নিত স্থানে ক্লিক করুন।
মূলত আপনার আবেদনটি এখান থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে। তাই এখন থেকে আরও একটু বাড়তি সর্তকতা নিয়ে শুরু করা ভালো। প্রথমে রয়েছে Personal Information দেয়ার পালা। এখানে আপনি যদি নিজের জন্য আবেদন করেন তাহলে ⊗ I apply for myself এর চেকবক্সে টিক দিয়ে দিবেন। আর যদি অন্য কারো জন্য আবেদন করেন তাহলে চেকবক্সে টিক দেয়ার দরকার নেই।
তারপর পর্যায়ক্রমে সমস্ত ইনফরমেশন গুলো আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ন্যায় অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ দেখে পূরণ করে ফেলুন। এছাড়া আপনার যদি পূর্বেই পাসপোর্ট করা থেকে থাকে তাহলে সেটা দেখে একদম নির্ভুলভাবে হুবহু পুনরায় পূরণ করে দিবেন। আপনি কিছুটা বুঝতে পারলেই এই ফরমটি পূরণ করতে আশা করি আপনার কোন সমস্যা হবে না। epassport bd এর জন্য আবেদনটি সব শেষে আরেকবার সবকিছু ঠিকঠাক দিলেন কিনা চেক করে নিয়ে Save and continue তে ক্লিক করতে হবে।
নতুন আরেকটি পেইজে নিয়ে যাওয়া হবে। এখানে আপনার আগের করা কোন epassport bd বা MRP passport আছে কিনা সেটার যাবতীয় ইনফরমেশন দিতে হবে। তাহলে আপনার যদি আগের করা কোন পাসপোর্ট থেকে থাকে সেই মতো তথ্য নির্বাচন করে দিবেন। যেমন- পাসপোর্ট রি-ইস্যুর কারণ, পুরাতন পাসপোর্টটির নম্বর, মেয়াদ শেষের তারিখ ইত্যাদি নির্বাচন করে দিতে হবে।
আর যদি আগের কোন পাসপোর্ট আপনার করা না থাকে অর্থাৎ আপনি একেবারেই যদি নতুন করে আবেদন করেন তাহলে No, I don’t have any previous passport টি নির্দিষ্ট করে দিবেন। তারপর পুনরায় Save and continue তে ক্লিক করে পরবর্তী পেজে চলে যেতে হবে।
এই পেইজে আপনার এড্রেস (স্থায়ী এবং বর্তমান) দুটোই ঠিকঠাকমতো লিখে দিতে হবে। তারপর পুনরায় Save and continue তে ক্লিক করতে হবে। এখন আপনাকে যেই পেইজটিতে নিয়ে যাওয়া হবে সেটা হল Parental Information অর্থাৎ পিতা মাতার তথ্য পূরণ করতে বলবে। সবকিছু ঠিকঠাক মতো তথ্য দিয়ে পরবর্তী ধাপগুলো নির্ভুলভাবে করে পূরণ করে ফেলুন। তারপর Save and continue তে ক্লিক করে পরের পেইজে চলে যেতে হবে।
এখানে Spouse Information নামে নতুন আরেকটি পেইজ আসবে। এখানে আপনার বৈবাহিক অবস্থা বর্ণনা করে দিতে হবে। যেমন- স্পাউস নেইম, তাঁর আইডি নম্বর ইত্যাদি সহ উল্লেখ করে দিতে হবে। তারপর আগের মতোই ক্লিক করে পরবর্তী পেইজে চলে যাবেন।
Emergency Contact নামে নতুন একটি পেইজে চলে আসবেন। এখানে আপনার নিকট আত্মীয়র একটি ইমারজেন্সি কন্টাক্ট নম্বর (ঠিকানা সহ) দিতে বলবে। কন্টাক্ট নম্বর ও ঠিকানা দিয়ে পরবর্তীতে ক্লিক করুন। Passport Options নামে নতুন একটি পেইজ আসবে। এই পেজটি একটু সাবধানে ফিলাপ করতে হবে এবং কোন ভুল করা যাবে না।
এখানে থাকা চারটি অপশনে আপনি আপনার পছন্দমতো আপনার পাসপোর্টের পেইজ এবং মেয়াদ কমিয়ে অথবা বাড়িয়ে নিতে পারবেন। তাই ভেবেচিন্তে আপনার পাসপোর্টটি কত পেইজের ও মেয়াদ কত দিনের নিবেন সেটা নির্বাচন করতে দিবেন।
epassport bd fee এবং মেয়াদ অনুসারে কোন পেইজের জন্য কত টাকা লাগবেঃ
- ৪৮ পেইজ পাঁচ বছরের জন্য লাগবে ৪,০২৫/= টাকা
- ৪৮ পেইজ দশ বছরের জন্য লাগবে ৫,৭৫০/= টাকা
- ৬৪ পেইজ পাঁচ বছরের জন্য লাগবে ৬,৩২৫/= টাকা এবং
- ৬৪ পেইজ দশ বছরের জন্য লাগবে ৮,০৫০/= টাকা। More…
আপনি আপনার পছন্দমত ৫/১০ বছর মেয়াদ নির্বাচন করে দিবেন। নিচে সাথে সাথে কোন মেয়াদে কত টাকা লাগছে সেটাও শো করবে। সবকিছু ঠিকঠাক দেখে নেয়ার পর Save and continue তে ক্লিক করুন। তাহলে Delivery Options আসবে অর্থাৎ আপনি আপনার e-Passport টি কত দিনের মধ্যে ডেলিভারি নিতে চান সেটা জানতে চাইবে।
আপনি যদি রেগুলার ডেলিভারি নিতে চান তাহলে ২১ কার্যদিবস সময় লাগবে। আর যদি এক্সপ্রেস বা দ্রুত ডেলিভারি নিতে চান তাহলে ১০ কার্যদিবস সময় লাগবে e-Passport টি হাতে পেতে। পাশাপাশি কোনটা করতে কত টাকা লাগছে সেটাও দেখতে পাবেন। আপনি নরমাল অথবা জরুরী দুটোর যে কোন একটি নির্বাচন করে Save and continue তে ক্লিক করুন।
এখানে আপনার Application এর সমস্ত Overview দেখাবে। আর এরই মাধ্যমে আপনার e-Passport এর জন্য আবেদন প্রক্রিয়াটির মূল পর্ব শেষ হলো। এখানে আপনার আবেদনের প্রত্যেকটি সেকশনের ওভারভিউ হতে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা তা ভালকরে দেখে পড়ে নিতে হবে। যদি কোন ভুল থেকে থাকে তাহলে সেই সেকশনে পুনরায় edit এ ক্লিক করে সংশোধন করে দিয়ে আসতে হবে।
যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে Confirm and proceed to payment এ ক্লিক করুন। আপনি কনফার্ম করার পরেও পুনরায় আরও সতর্কতার জন্য একটি পপআপ বার্তা আসবে পুনরায় কনফার্ম করার জন্য। আপনি রাজি থাকলে Confirm and proceed to payment এ ক্লিক করুন।
এখন আপনাকে Payment Option এর ঘরে নিয়ে চলে আসবে। এখানে আপনার আবেদনকৃত পাসপোর্টের জন্য কত টাকা ফি জমা দিতে হবে তার একটি স্লিপ বা ফর্ম আসবে এবং আপনার ফি টা পরিশোধের জন্য বলা হবে। এই ফি আপনি অনলাইন এবং অফলাইন দুই ভাবেই পরিশোধ করতে পারবেন।
অনেক ক্ষেত্রে অনলাইন পেমেন্ট অপশনটি লক থাকতে পারে। তখন অফলাইনের মাধ্যমে অর্থাৎ নির্ধারিত ব্যাংকে গিয়ে পাসপোর্টের ফি পরিশোধ করতে পারবেন। আপনি অফলাইন পেমেন্ট নির্বাচন করলে নিচে ব্যাংক ইনফরমেশনগুলো চলে আসবে অর্থাৎ কোন কোন ব্যাংকে আপনি ফি পরিশোধ করতে পারবেন সেই ব্যাংকের নামগুলি দেয়া থাকবে। তারপর Continue তে ক্লিক করুন।
এখন আপনার কাজ হলো সমস্ত ডকুমেন্ট ও টাকা জমার রশিদটি সহ একটি নির্দিষ্ট দিনে সশরীরে যদি আগের পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে সেটা সহ আপনার নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে সাক্ষাতকারের জন্য যেতে হবে। এই সাক্ষাতকারের তারিখ আপনার সুবিধামত আপনি এখান থেকেই আগে নির্বাচন করে দিতে পারেন। আপনি পেমেন্ট এর অপশন নির্বাচন করে Continue তে ক্লিক করলেই সেটায় চলে আসবেন অর্থাৎ Schedule Appointment কনফার্ম করতে হবে।
অর্থাৎ এখানে Schedule Appointment কনফার্ম করলেই সাক্ষাৎকারের সম্ভাব্য তারিখের একটি ক্যালেন্ডার চলে আসবে আপনার সামনে। এখান হতে দেখে আপনার সুবিধামতো তারিখ ও সময় দুটোই নির্বাচন করে দিবেন।
Please Note That: আপনি যেই সময়টা এখানে নির্বাচন করবেন সেটি অবশ্যই মনে রাখবেন এবং পরবর্তীতে সেই নির্দিষ্ট দিনে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে সমস্ত ডকুমেন্ট সহ সাক্ষাৎকারের জন্য হাজির হবেন।
তারপর Confirm বাটনে ক্লিক করুন। তাহলেই আপনার আবেদনপত্রটি সফলভাবে সাবমিট করা হয়ে যাবে এবং Application Submitted নামে একটি ইনফরমেশান পেইজ আপনাকে দেখাবে। যেখানে আপনার Name, Application ID, Online registretion ID, Date of birth ইত্যাদি দেয়া থাকবে। এছাড়া আপনার মেইলেও একটি বার্তা চলে যাবে।
এই পেইজে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়া থাকবে সেটি হল List of required documents বা epassport documents আপনি সাক্ষাতকারের সময় কি কি ডকুমেন্ট সাথে নিয়ে যাবেন তার তালিকা। এই তালিকা দেখে সাক্ষাতকারের আগেই ব্যাংকে ফি জমা দিয়ে চালানের কপি সহ সবগুলো ডকুমেন্ট দ্রুত সংগ্রহ করে আলাদা একটি ফাইলে রেখে আপনার পরবর্তী সাক্ষাৎকারের জন্য তৈরি হয়ে যাবেন।
তারপরও এই পেইজের তথ্যগুলো আপনি ডাউনলোড করে এবং প্রিন্ট করে নিতে পারেন। আবার সেভ করেও রাখতে পারেন নিজের ড্রাইভে। যা পিডিএফ আকারে ফাইলটি সেইভ হবে। আর এভাবেই আপনার epassport bd এর জন্য অনলাইনে আবেদনের পুরো প্রক্রিয়া টি সম্পন্ন হল।
আশা করি এখানে দেয়া সমস্ত কিছু আপনি সহজেই বুঝতে পেরেছেন। দেখলেনতো অনলাইনে e-Passport এর জন্য আবেদন প্রক্রিয়াটি এখন কতটা সহজ। আর এখন থেকে আপনাকে কোথাও কোনো অযথা টাকা খরচ করতে হবে না এবং কোন দালালও ধরতে হবে না।
ঘরে বসেই আপনি আপনার এমআরপি পাসপোর্টের সমস্ত ইনফরমেশন দিয়ে আপনার epassport bd সংগ্রহ করে নিতে পারবেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে। এছাড়া e-Passport সংক্রান্ত আরো কিছু জানার প্রয়োজন মনে করলে নিচের কমেন্ট বক্সে লিখে দিন। আমরা আপনার প্রশ্নটির উত্তর জেনে রিপ্লাই দেয়ার চেষ্টা করব। অথবা আমাদের ঠিকানায় ইমেইল করতে পারেন।
চমৎকার। সরকারকে ধন্যবাদ। এতে করে সাধারণ মানুষের হয়রানি কমবে।
খুব সুন্দর পোষ্ট। আমিও এটা করতে চাই।