সহজ ভাষায় Bone marrow transplantation process বা (BMT) in Bengali. ব্লাড ক্যান্সারের একটি মডার্ন কনসেপ্ট বা আধুনিক ট্রিটমেন্ট হলো এই bone marrow transplantation (BMT) বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন। অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের জন্য ভাই বোনের অথবা ম্যাচ রিলেটেড ডোনার নিয়ে ব্লাড ক্যান্সার নিরাময়ে এই bone marrow transplantation করা হয় এবং এই চিকিৎসায় রুগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়।
বোন ম্যারো (অস্থি মজ্জা) বলতে কি বুঝায়ঃ
Bone marrow বা অস্থি মজ্জা হল এমন এক ধরনের একটি বিশেষ নরম বা স্পঞ্জের মতো দেখতে এক প্রকার ফ্যাটি টিস্যু। যেখানে রক্ত তৈরির মূল উপাদান Stem cell গুলো থাকে। এই স্টেম সেলগুলো হাড়ের মজ্জার মধ্যে থাকে এবং নিজেদের শ্বেত রক্তকণিকা, লোহিত রক্তকনিকা এবং অণুচক্রিকা তৈরি বা পরিবর্তিত করে।
এভাবে Bone marrow মানব দেহে রক্তকনিকা প্রস্তুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সুস্থ যে কোন বেক্তি তার দেহের অস্থি মজ্জা দান করতে পারেন। তবে দাতাকে অবশ্যই অস্থি মজ্জা দান করতে সক্ষম হতে হবে। এখানে Bone marrow দাতা কে কিছু স্বাস্থ্যগত শর্ত পূরণ করে তারপরে দিতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ ব্লাড ক্যান্সারের সিমটম দেখে আপনি কীভাবে বুঝবেন ক্যানসার হয়েছে কি না।
সহজ ভাষায় ব্লাড ক্যান্সার এর সংজ্ঞা কি চলুন জেনে নেই।
ব্লাড ক্যানসার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার আগে আমাদেরকে জানা দরকার যে ক্যান্সার আসলে কি? আমরা প্রত্যেকেই জানি যে আমাদের শরীরে অসংখ্য সেল বা কোষ রয়েছে। আর এই সেলগুলো দিয়েই আমাদের সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তৈরি হয়েছে। আবার কিছুদিন পর পর এই সেলগুলো মরে গিয়ে পুনরায় নতুন সেল তৈরি হয়। মানব দেহে এই যে সেল তৈরি হওয়া এবং সেটা কিছু দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকা তারপরে সেলগুলো ন্যাচারালি মারা যাওয়া।
এটি একটি রেগুলেটেড প্রসেস। যেটা আমাদের শরীরে রয়েছে। কোন কারণে যদি এই ধারাবাহিকতা ব্যাহত হয়। মানে সেলগুলো নতুন করে তৈরি হচ্ছে কিন্তু মারা যাচ্ছে না। থেকে যাচ্ছে অথবা যে রকম রেটে সেলগুলো তৈরি হওয়ার কথা তার তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে সেল তৈরি হচ্ছে। অথবা ইমম্যাচিউর সেল বা অপরিণত সেল তৈরি হচ্ছে। তখন তাকে আমরা বলি ক্যান্সার।
এক কথায় বলতে গেলে ক্যান্সার হচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত কোষ এর Proliferation তৈরি হওয়া। সেটা যখন বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে হয় তখন সেই অনুযায়ী আমরা তাদের একটি করে নাম দেই। আর সেটা যখন ব্লাডে হয় তখন আমরা তাকে বলি ব্লাড ক্যান্সার।
এবার আমরা আরও জানি যে আমাদের ব্লাড তৈরি হয় অস্থি বা হাড়ের ভিতরে যেই মজ্জা আছে সেখান থেকে এবং সেখানে মাতৃকোষ বা স্টেম সেল থাকে। স্টেম সেল থেকে আস্তে আস্তে পরিণত সেল তৈরি হয়।
এই ব্লাড এর মধ্যে মূলত তিন রকমের কোষ থাকে। যেমন-
- প্রথমটাকে বলি আমরা লোহিত রক্ত কণিকা বা red blood cell (RBC)। যার মধ্যে হিমোগ্লোবিন থাকে। যা হাড়ের অস্থি মজ্জায় তৈরি হয়। লোহিত রক্ত কণিকার ভূমিকা হল ফুসফুস যে কার্বন ডাই অক্সাইড (রাসায়নিক সংকেত CO2) নিয়ে আসে এবং অপসারণ করে তার বিনিময়ে শরীরের কলাতে অক্সিজেন সরবরাহ করা। অস্থিমজ্জায় থাকা মাতৃকোষ বা স্টেম সেল কে hemocytoblast বলে। এরা রক্তের সমস্ত উপাদান গঠন করে। hemocytoblast থেকে একটি লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি হতে প্রায় দুই দিন সময় লাগে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, শরীর প্রতি সেকেন্ডে প্রায় কুড়ি লক্ষ লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করে।
- দ্বিতীয় আরেকটিকে বলে শ্বেত রক্ত কণিকা বা white blood cells। যেটা আমাদের রোগকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ অনাক্রম্যতন্ত্রের কোষ যেগুলো সংক্রামক রোগ ও বাহ্যিক আক্রমণকারী জীবাণু বা অসুখ থেকে শরীরকে রক্ষা করে থাকে। চিকিৎসার ভাষায় ইহা লিউকোসাইট নামে পরিচিত। অর্থাৎ শ্বেত রক্ত কণিকাকে মানব দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভ্রাম্যমান একক বলা হয়।
আরও পড়ুনঃ ঔষধ না খেয়ে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর সহজ উপায়।
আরও পড়ুনঃ উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ ও প্রতীকার।
- তৃতীয় আরেকটিকে বলি আমরা অনুচক্রিকা বা platelet। এটা হল রক্তের ক্ষুদ্র বর্ণহীন কোষ ও নিউক্লিয়াস বিহীন ডিম্বাকৃতির চাকতি সদৃশ একটি উপাদান বিশেষ। যার প্রধান কাজ হলো শরীরে রক্তপাত বন্ধ করা এবং দ্রুত রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করা। রক্তের এই platelet বা অনুচক্রিকা কমে গেলে শরীরের বাইরে ও ভিতরে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তখন তখন স্ট্রোক অথবা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি তৈরি করে। যেটা এখন ডেঙ্গু জ্বরের সূত্রে মুটামুটি আমরা সবাই এর সম্পর্কে কিছুটা জানি।
তো এই তিনটি কোষই তৈরি হয় কিন্তু bone marrow এর ভেতরে একটি ইমম্যাচিউর সেল থেকে বা অপরিনত সেল থেকে। কোনো কারণে যদি সেই অপরিণত সেল বা স্টেমসেল প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায়। যাকে আমরা ব্লাস্ট সেলও বলে থাকি। এই সেলগুলি যখন প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায় কিন্তু তারা ম্যাচিওর হয়না। এই অনিয়ন্ত্রিত ব্লাড সেলের গ্রোথকেই বলি আমরা ব্লাড ক্যান্সার। সাধারণ ও সহজভাবে এটিই হচ্ছে ব্লাড ক্যান্সার এর সংজ্ঞা।
Bone marrow transplantation process বা চিকিৎসা পদ্ধতিটি কিঃ
Bone marrow transplantation (BMT) বা Stem cell প্রতিস্থাপন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যা ক্ষতিগ্রস্ত বা রোগাক্রান্ত Bone marrow রক্ত সৃষ্টিকারি স্বাস্থ্যকর Stem cell দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। অর্থাৎ Bone marrow transplantation process হল এমন একটি আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি যা আপনার অস্থি মজ্জাকে সুস্থ কোষ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়।
অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনকে স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট বা Hematopoietic stem cell transplant (HPSCT) ও বলা হয়। এটি তখনি দরকার হয়, যখন শরীরে বোন ম্যারো (Bone marrow) সঠিকভাবে কাজ করে না অর্থাৎ পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর রক্ত কনিকা গঠন করতে পারে না।
চিকিৎসকদের মতে ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে আগে এই bone marrow transplant শব্দটি ব্যাবহার হতো। তাই বলা হতো bone marrow transplant বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন। মানে bone marrow ই সংগ্রহ করা হতো। bone marrow টাকে প্রতিস্থাপন করা হতো। যা এখনও এই নামেই বলা হয়।
তবে এখন bone marrow লাগে না বা দরকার হয় না। লাগে শুধু bone marrow এর ভিতরের সুস্থ Stem cell গুলো রয়েছে সেগুলোই transplant করা হয়। এর জন্য একটি সুস্থ ম্যাচিং ডোনার দরকার হয়।
তাই বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ভাই বোন দরকার হয়। কারণ শতভাগ ম্যাচিং হলে ফলাফল সবচাইতে ভাল হয়। তাই bone marrow transplant করতে সুস্থ Stem cell গুলো সংগ্রহ করা হয়। নিতম্বের (পেলভিক) হাড়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে সক্রিয় মজ্জা এবং প্রচুর পরিমাণে স্টেম সেল থাকে। এছাড়া ডোনারের বাহু বা বুকের শিরা থেকেও Stem cell সংগ্রহ করা হয়।
যদি নিতম্বের (পেলভিক) হাড়ের মধ্যে থেকে Stem cell সংগ্রহ করা হয় তখন ডাক্তার পেলভিক হাড়ের উপরের ত্বকে কয়েকটি ছোট ছোট খোঁচা দেন। খোঁচা দেয়ার পরে একটি সিরিঞ্জের সাথে সংযুক্ত একটি বিশেষ ধরনের সুই এই খোঁচাগুলির মাধ্যমে অস্থি মজ্জাতে প্রবেশ করানো হয়।
চিকিৎসক অত্যন্ত সাবধানে সিরিঞ্জের মাধ্যমে হাড় থেকে মজ্জা এবং রক্ত বের করে আনেন বা সংগ্রহ করেন। অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত স্টেম সেল সংগ্রহ না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করা হয়। তবে এটি সাধারণত এক থেকে দুই ঘন্টা সময় নেয়।
তারপরে সংগৃহীত কোষগুলি হাড়ের টুকরো এবং চর্বি কণা অপসারণের জন্য ফিল্টার করা হয়। সংগ্রহ করা হয়ে গেলে ডোনার বা দাতা সাধারণত কয়েক ঘন্টা পরেই হাসপাতাল ছেড়ে যেতে পারেন। তবে কখনও কখনও এই প্রক্রিয়া থেকে পুনরুদ্ধার করার জন্য দাতাকে হাসপাতালে থাকতে হতে পারে।
একটি ইঞ্জেকশানের মাধ্যমে পরপর ৪ দিন থেকে ৫ দিন Stem cell গুলোকে bone marrow থেকে ব্লাডে নিয়ে আসা হয়। তারপর একটি বিশেষ ধরনের মেশিনে (apheresis machine) ঐ ব্লাডটি প্রসেস করে Stem cell কে সংগ্রহ করা হয়। এইবার একটি হাই ডোজ কেমথেরাপি বা টোটাল বডি রেডিয়েশান দিয়ে রুগীর সমস্ত bone marrow টাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়।
এর ফলে bone marrow এর ভিতরে যেটুকুন ক্যান্সারের জীবাণু আছে তার সবগুলো নষ্ট হয়ে গেল। তারপর bone marrow grow করার জন্য ডোনার হতে সংগ্রহ করা Stem cell টি রুগীর শরীরে দিয়ে দেয়া হয়। আর এই Stem cell টি দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে নতুন সেল গঠন করে ফেলে। ফলে রুগীর পুরনো যেই ব্লাড ক্যান্সারটি ছিল সেটি থেকে তিনি সম্পূর্ণ ভাল হয়ে যায়।
অন্যান্য ট্রান্সপ্লান্টের সাথে bone marrow ট্রান্সপ্লান্টের পার্থক্য কি?
অন্যান্য transplantation process এর সাথে Bone marrow transplantation process এর মুলত দুটি পার্থক্য রয়েছে। ট্রান্সপ্ল্যান্টের ক্ষেত্রে রোগী বা দাতার কোন সার্জারি করা লাগে না। এটি একটি অত্যন্ত সুরক্ষিত একটি প্রক্রিয়া। এর মধ্যে একটি পার্থক্য হল অন্যান্য ট্রান্সপ্লান্টের জন্য ডোনার যে অর্গানটি দিচ্ছেন সেই অর্গানটি কিন্তু তার শরীরে আর থাকছে না। ডোনারের শরীর থেকে পুরপুরিভাবে চলে যায়। যেমন- চোখ, কিডনি ইত্যাদি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে গেলে তাকে বা ডোনারকে একটি কিডনি বা একটি চোখ পুরোপুরি রুগীকে দিয়ে দিতে হচ্ছে।
কিন্তু ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসায় Bone marrow transplantation ক্ষেত্রে process হল শুধুমাত্র Stem cells নেয়া হয়। যা কিনা একটি Stem cell হতে লক্ষ্য লক্ষ্য Stem cells তৈরি হয় প্রতিনিয়ত। ডোনারের Stem cell টি সংগ্রহ করলে ডোনারের কোন অর্গান নষ্ট হয়না। আজ যে নিজের Stem cell দিল, দুদিন পরেই তার সেই Stem cell টি তৈরি হয়ে যায়।
আরেকটি পার্থক্য হচ্ছে অন্যান্য ন্সপ্লান্টের জন্য একটি বা কিছু অপারেসানের মাধ্যমে সংগঠিত হয়। কিন্তু বোন ম্যারো ট্রন্সপ্লান্টেশন করতে গেলে এরকম কোন অপারেসানের প্রয়োজন পড়েনা। যেভাবে একজন বেক্তি রক্ত ট্রন্সপ্লান্ট করে ঠিক সেভাবেই একটি সিরিঞ্জের মাধ্যমে রুগীর দেহের শিরায় Stem cell টি ঢুকিয়ে দেয়া হয়। সেই Stem cell টি bone marrow তে গিয়ে বসবে ম্যাচিউর হবে তারপর নতুন সুস্থ সবল কোষ গঠন করা শুরু করে দিবে এবং এর পর হতে দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে রুগী সম্পূর্ণ রূপে সুস্থ হয়ে যাবে।
একবার bone marrow transplantation এর চিকিৎসায় কি রুগী সুস্থ হয়ে যায় কি ?
হ্যাঁ, bone marrow transplant মাত্র একবার করলেই রুগী সুস্থ হয়ে যেতে পারে। তবে এই Bone marrow transplantation process টি হচ্ছে প্রায় তিন থেকে চার সপ্তাহ রুগী কে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়। কারণ bone marrow ধ্বংস করে দেয়ার পরে যখন নতুন করে Stem cell টি দেয়া হয় তখন দুই থেকে তিন সপ্তাহ লাগে নতুন সেল তৈরি হতে। তখন ঐ সময়ে রুগীর দেহে কোন ইমিউনিটি থাকে না। কোন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে না। তখন তাকে একটি সুরক্ষিত ট্রন্সপ্লান্ট ইউনিটের মধ্যে থাকতে হয়।
সেখানে সবকিছুই sterilize করে অর্থাৎ জীবাণুমুক্ত করে পাঠাতে হয়। এমনকি রুগীর যে খাবারটি সরবরাহ করা হয় সেটাও Ultra Violet Ray এর মধ্যে দিয়ে পাস করে পাঠানো হয়। যাতে করে কোন রকম ইনফেশান না ছড়ায়। তারপরে নতুন সেল তৈরি হবার পরে রুগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়।
সুস্থ হবার পরেও রুগীকে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হয়। মানে চিকিৎসক কর্তৃক নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। কারণ দেহে ইমিউনিটি তৈরি করতে সাধারনত ছয় থেকে এক বছর সময় লেগে যায় নতুন সেল তৈরি হবার পরেও। ঐ সময় ইনফেকশানের সুযোগটা একটু বেশী থাকে।
পরিশেষে কিছু কথাঃ
পরিশেষে যেটি বলতে চাই সেটা হল। ব্লাড ক্যান্সার হলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ব্লাড ক্যান্সার সম্পূর্ণ নিরাময় যোগ্য একটি রোগ। এখন যেটা সবার আগে দরকার সেটা হল সচেতনতা ও রোগটি সম্পর্কে সঠিক ধারনা রাখা এবং সঠিক ডায়াগনোসিস। সঠিক ভাবে ডায়াগনোসিস হলেই আমরা ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা করতে পারব।
এখানে Bone marrow transplantation process সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছুটা হলেও ধারনা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যা অনেকের ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসায় অনেক সাহস ও সহায়তা যোগাবে বলে আশা করা যায়। চাইলে নিচে কমেন্ট করে আপনাদের সুন্দর মতামত ও পরামর্শ দিতে পারেন। অথবা লেখায় কোন ভুল-ত্রুটি থেকে থাকলে সেই ভুলগুলি ধরিয়ে দিয়ে পরবর্তীতে সংশোধনের জন্য পরামর্শ দেয়া হল।