Verification: 604f510ca357bb64

bangla health tips নিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস।

bangla health tips নিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস। কথায় আছে স্বাস্থ্যই সম্পদ। অর্থাৎ স্বাস্থ্যই হল সকল সুখের চাবিকাঠি। আপনি যা কিছুই করেন না কেন আপনার শরীর স্বাস্থ্য যদি ভাল না থাকে, আপনি যদি সুস্থ না থাকেন তাহলে কোন কাজেই আপনার মন বসবে না। তাই আমরা নিজেদের সুস্থ রাখতে খাওয়া দাওয়া ও ব্যায়াম করা থেকে শুরু করে কত চেষ্টাই না করে থাকি। অনেকে লাইফ স্টাইলও পরিবর্তন করেন শুধুমাত্র সুস্থ ও ফিট থাকার জন্য। bangla health tips এর এখনকার আলোচনায় স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। চলুন তাহলে bangla health tips গুলো জেনে নেই।

১। যে খাবারগুলো বাচ্চাদের জন্য সুপারফুডঃ

bangla health tips এর শুরুতেই আলোচনা ও দিক নির্দেশনা থাকছে বাচ্চার কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবার বা সুপার ফুড নিয়ে। বাচ্চার সুস্থ ভাবে বেড়ে ওঠা ও তার খাবারের মধ্যে প্রথমেই বলতে হয় প্রোটিনের কথা। কারণ বাচ্চার শরীরে যদি যথেষ্ট এনার্জি না থাকে তাহলে বাচ্চা দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই একটি বাচ্চার জন্য ডিম হলো সুপারফুড। একটি ডিম যে কোন পদ্ধতিতে প্রতিদিন যদি বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন তাহলে সেখান থেকে বাচ্চা ভিটামিনস, মিনারেলস, ভিটামিন- বি কমপ্লেক্স যা বাচ্চার ব্রেইন ডেভলপমেন্টে সহায়তা করে থাকে।

bangla health tips এ আরেকটি সুপার ফুড হল দুধ। প্রত্যেকটি বাচ্চার জন্য দুধ হল একটি আদর্শ খাবার। দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার প্রত্যেকদিন যদি বাচ্চার জন্য রাখেন তাহলে তার সারাদিনের প্রোটিন ও ক্যালরির চাহিদা ফিলাপ হয়ে যায়। কারণ একটি বাড়ন্ত বাচ্চার জন্য প্রচুর প্রোটিন ও ক্যালরির প্রয়োজন পড়ে। যা আপনি প্রত্যেকদিন একটি করে ডিম ও দুধ খাইয়েই পূরণ করতে পারেন।

বাদাম হলো বাচ্চার জন্য আরেকটি সুপার ফুড। বাদামে অসংখ্য প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ফ্যাট, সেলেনিয়ামসহ নানা রকম পুষ্টিগুণ বিদ্যমান রয়েছে। তাই যে কোন প্রকারের বাদাম বা বাদামের তৈরি খাবার অথবা বাদাম মিশ্রিত বিস্কুট, ডেজার্ট বাচ্চার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত রাখতে হবে।

এরপর আরেকটি সুপার ফুড হলো মাছ। তবে মাছে কাটার ভয় থাকায় এখনকার বাচ্চারা খেতে চায় না। অনেক বাচ্চারা আছে যারা মাছের গন্ধের জন্যও মাছ খেতে চায় না। তাই রান্নায় মাছের গন্ধ দূর করতে লেবু ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া মাছ রান্নায় সিদ্ধকরে করে না খাইয়ে মাছের তৈরি নানা রকম রেসিপি যেমন- ফিস ফিংগার, ফিস কাটেল, ফিস ফ্রাই ইত্যাদি বানিয়ে খাওয়াতে পারেন। তাহলে বাচ্চার শারীরিক ও মানসিক বিকাশে মাছ সুপার ফুড হিসেবে দারুণ কাজ করবে। পাশাপাশি তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে কয়েকগুণ। আর বাচ্চা থাকবে সুস্থ ও সবল।

bangla health tips এ এতক্ষণ সুপার ফুড হিসেবে প্রোটিনের কথা আলোচনা করা হয়েছে। এখন আপনাকে নজর দিতে হবে জিংক সমৃদ্ধ খাবারের দিকে। কারণ বাচ্চার ব্রেইন এর সাথে সম্পর্কিত রয়েছে জিংক সমৃদ্ধ খাবার। যেমন- কলিজা। বাচ্চাকে মুরগি, গরু ও খাসির কলিজা নিয়মিত খাওয়াতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় যখন বাচ্চা চিবিয়ে খাওয়া শিখে তখন দেশি মুরগির কলিজা খাওয়াতে পারেন। এরপর দুই বছর বয়সের পর থেকে গরু বা খাসির কলিজা খাওয়াতে পারেন।

কারণ কলিজায় মাংসের চেয়েও বেশী পুষ্টিগুণ রয়েছে। রয়েছে আয়রন, ভিটামিন- এ, ডি, ই, ফলিক এসিড ইত্যাদি সহ ভিটামিন বি ১২ থাকে প্রচুর পরিমাণে। ফলে বাচ্চা রক্তশূন্যতার ভয় থাকে না । শিশুদের ব্রেইন ডেভলপমেন্টের জন্য এটি একটি সহায়ক এবং দেহের নার্ভ সিস্টেমকেও ডেভেলপ করে কলিজার পুষ্টি। অনেক বাচ্চারা এর গন্ধের জন্য কলিজা খেতে চায়না। তাই কলিজাকে কাবাব বানিয়ে খাওয়াতে চেষ্টা করবেন।

আরেকটি সুপার ফুদের কথা না বললেই নয়। আর সেটা হল হাঁস, মুরগি, গরু বা খাসির মগজ। মগজেও রয়েছে অনেক রকমের পুষ্টিগুণ। কলিজার মত মগজেও রয়েছে ফাইবার ও আয়রন। বাচ্চার উজন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই মগজ।

এরপর সুপার হিসেবে আসে কিছু কিছু মাল্টিমিনারেলস এর কথা। যেমন বাচ্চারা অনেকেই আছে যারা একেবারেই ভেজিটেবিলস খেতেই চায় না। তাদেরকে কোনভাবেই খেতে অভ্যস্ত করানো যায় না। যেমন- র-ভেজিটেবলস যেমন গাজর, টমেটো। আপনি এগুলোকে ফ্রুটস স্টাইলে আপনার বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। মানে রান্না করে খেতে না দিয়ে কাঁচা অবস্থায় খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। অন্তত সপ্তাহে তিন দিন বাচ্চাকে এগুলো অবশ্যই খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।

কারণ টমেটো ক্যান্সার সেলকে প্রটেক্ট করে। আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। থাকে লাইকোপিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা বাচ্চাকে রোগ প্রতিরোধ মুক্ত রাখে। আর পাকা পেঁপে ও গাজরের কথা যদি বলা হয় তাহলে এটি একটি ডিফারেন্ট টাইপের একটি সুপার ফুড। কালারের জন্যও এর ভিন্ন মাত্রা রয়েছে। বাচ্চাকে ডাক্তাররা ভিটামিন-এ ক্যারোটিনয়েডের কথা বলে থাকেন। ছোট থেকেই আমরা যদি এই কালারফুল খাবারগুলো খেতে অভ্যস্ত করে ফেলতে পারি। তাহলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক গুনে বৃদ্ধি পাবে এবং তার ভবিষ্যতের জন্যও ভাল হবে।

বাচ্চাদের চোখ নিয়ে আমরা বাবা মায়েরা খুব বেশি টেনশনে থাকি। তাদের চোখের পাওয়ার যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে তার জন্য তাদেরকে এই সমস্ত কালারফুল খাবারে ও ভেজিটেবিলসে অভ্যস্ত করতে হবে। আমরা বাচ্চাদেরকে এই কয়েকটি ফলের পাশাপাশি আমাদের প্রকৃতিতে অন্যান্য যে সমস্ত সিজনাল ফল যেগুলো রয়েছে।

যেমন কলা। কলা একটা সহজলভ্য ও সারা বছর পাওয়া যায় এমন একটি পুষ্টিকর ফল। আরও আছে অরেঞ্জ বা মাল্টা। এটাও সারা বছর পাওয়া যায়। এই দুটি ফল আপনি বাচ্চাকে নিয়মিত অল্টারনেটিভ করে করে খাওয়াতে পারেন। এরপর এগুলোর সাথে সবুজ রঙের ফল রাখতে হবে। অর্থাৎ এই তিনটি কালারফুল ফল যদি বাচ্চার খাদ্যতালিকায় রাখেন তাহলে প্রত্যেকটি নিউট্রিশন্সের চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।

২। চেহারায় ও ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখতে পারে এমন ১০টি খাবারের তালিকাঃ

bangla health tips এ এখনকার আলোচনায় থাকছে তারুণ্য নিয়ে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের ত্বকে নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি হয়। যেমন- বলিরেখা, বার্ধক্যের ছাপ, চুল পেকে যাওয়া, মেছতার দাগ, চোখের নিচে কালি পড়া সহ আরো কত কি দেখা দেয়। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, বয়সকে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখা যায় কিনা ? হ্যাঁ আপনি একটু সতর্ক ও একটু চেষ্টা করলেই বয়সের ছাপ কমিয়ে ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখতে পারবেন।

এজন্য আপনাকে প্রকৃতির সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হবে। কারণ একমাত্র প্রকৃতিই পারে আপনাকে আপনাদের যৌবনকে ফিরিয়ে আনতে বা ধরে রাখতে। তাহলে এই সমস্ত প্রাকৃতিক উপাদানে কি এমন গুনাগুণ আছে যা আমাদের ত্বককে এত ভালো রাখতে সাহায্য করবে ? এখানে প্রকৃতি বলতে বোঝানো হয়েছে নানা রকমের ফলমূল ও উদ্ভিজ্জ উপাদানকে। চলুন তাহলে দেখে নেই কিভাবে প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে ত্বক, চুল ও হাত পায়ের নখের যত্ন নেওয়া যায়। এই সম্পর্কিত বিস্তারিত বর্ণনা সহ আমাদের আরেকটি আর্টিকেল রয়েছে। চাইলে এই লিংকে ক্লিক করে পড়ে আসতে পারেন।

ক) কফিঃ ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় কফির জুড়ি মেলা ভার। অনেকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই হোক কিংবা কাজের ফাঁকে আমরা অন্তত এক কাপ কফি খেয়ে থাকি। এই কফি খাওয়া কিন্তু ত্বকের জন্য উপকারী। তাই চেষ্টা করবেন দৈনিক এক কাপ কফি খাওয়ার জন্য। কফিতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন। যা মুখের ব্রণ ও মেছতার দাগ দূর করতে পারে। এছাড়া ত্বকের মরা চামড়া, বলিরেখা ও ডার্ক সার্কেলস দূর করে কফির ফেসপ্যাক।

খ) তরমুজঃ তরমুজ ত্বক ও শরীর উভয়ের জন্যই খুব উপকারী। এর কারণ তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন রয়েছে। লাইকোপেন হলো এক ধরণের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পাকা টমেটোর মধ্যেও রয়েছে। এগুলো ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনী রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। তরমুজে বিদ্যমান অ্যামিনো অ্যাসিড চুলের বেড়ে ওঠার জন্য দারুণ উপকারী এবং ত্বকের কোলাজেনকে বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে এতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি এবং সি। এই উপাদানগুলো ত্বকের শুষ্কতা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। তাই সিজনের সময় তরমুজ ও নিয়মিত টমেটো খেতে পারেন।

গ) বেদানাঃ বেদানা সবারই প্রিয় একটি ফল। রোগীর পথ্য হিসেবে এর ভূমিকা রয়েছে। ত্বকের সুস্থতা ও শরীরকে সচল সুস্থ রাখতে যে ভিটামিনগুলোর প্রয়োজন পড়ে তার প্রায় সবকটিই রয়েছে এই বেদানায়। কিন্তু বেদানা অনেকে শুধু রসটুকুন খেয়েই তার বিচিগুলো ফেলে দেন। কিন্তু এটা করা যাবে না। কারণ বেদানার রস সহ বিচির মধ্যে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি থাকে। এই উপাদানগুলো ত্বক থেকে ফাইন লাইনস, রিংকেল কমানো, বলিরেখা, দাগ ছোপ ও ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। যারা মধ্য বয়সে পৌঁছে গেছেন তারা সহ সকলেই এটা বেশি বেশি খেতে পারেন। বেদানা খেলে ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং কোলাজেন ভাঙতে বাঁধা দেয়। ফলে ত্বকের টানটানভাব অক্ষুণ্ণ থাকে। 

ঘ) গলদা চিংড়ি বা লবস্টারঃ লবস্টার বা গলদা চিংড়ি হল প্রোটিনের উৎকৃষ্ট উৎস। এগুলো সামুদ্রিক মাছ। গলদা চিংড়িতে রয়েছে ভিটামিন বি-১২, ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই ও সেলেনিয়াম। এগুলো ত্বকের যে কোন ক্ষত সমস্যা দূর করে ত্বক ভাল থাকে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা দিন দিন বৃদ্ধি পায়। এছাড়া হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। আছে প্রচুর পরিমাণে জিংক যা মুখের ব্রণ ও প্রদাহ জনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া নিয়মিত লবস্টার খেলে চুলের সমস্যা কমে যায়। তবে যাঁদের চিংড়ি মাছে অ্যালার্জি আছে তাঁদের না খাওয়াই ভাল ৷

ঙ) ডিমঃ আপনি হাত ও পায়ের নখের ঠিকমত যত্ন নিচ্ছেন তো ? অনেকেই হয়তো নিয়মিত পার্লারে গিয়ে মেনিকিউর পেডিকিউর দুটোই করেন। তবুও দেখা যায় নখ ভেঙে যাচ্ছে। আপনি কি জানেন, নখের যত্ন শুধু শরীরের বাইরে থেকেই নয় শরীরের ভেতর থেকেও নিতে হয় ? নখের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তাই প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়া খুবই জরুরি। কারণ ডিমের প্রোটিন নখ তৈরি হতে ও নখ মজবুত করতে সাহায্য করে।

এছাড়া ডিমে রয়েছে অসংখ্য ভিটামিন ও মিনারেল, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। নিয়মিত ডিম খেলে শরীরের নানাবিধ উপকার ছাড়াও ডিমে বায়োটিন ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকায় ত্বকের যত্নে যাদুকরী ভূমিকা পালন করে ডিমের সাদা অংশ। ডিমের সাদা অংশগুলো ত্বকের অতিরিক্ত ময়লা, তেল এবং মৃত কোষগুলো সরিয়ে আপনার ত্বককে সুন্দর ও হাইড্রেট রাখে। নিয়মিত ডিমের ফেসমাস্ক ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়, ত্বকের বলিরেখা হ্রাস পায় ও ত্বকের তৈলাক্ততা কমায়।

চ) আখরোটঃ ত্বক ও চুলের যত্নে আখরোট খাওয়া একান্ত জরুরী। আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা 3 ফ্যাটি এসিড থাকে। ওমেগা 3 ফ্যাটি এসিড চুলের গোড়ায় তৈলাক্ততা বজায় রাখে। ফলে চুল রুক্ষতার হাত থেকে রক্ষা পায়। আর এতে বিদ্যমান ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি, ভিটামিন ই ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ত্বকের বলিরেখা রোধ কর ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল ও চকচকে এবং ত্বকের শুষ্কভাব দ্রুত দূর হয়ে যায়। এছাড়া চুলকে নষ্ট হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে কপার থাকায় চুলকে কালো রাখতে সাহায্য করে এবং অকালে পেকে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। ফলে চুল হয় সুন্দর ও প্রাণবন্ত মজবুত। চাইলে আখরোটের তেল তৈরি করেও মাখতে পারেন।

ছ) অ্যাভোকাডোঃ এই ফলটি বিদেশী হলেও এখন মোটামুটি আমাদের দেশে নিয়মিতই পাওয়া যায়। পাকা অবস্থায় অ্যাভোকাডো ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। অ্যাভোকাডোর ফেসপ্যাক চোখের নিচের কালো দাগ ও বলিরেখা দূর করে সহজেই এবং ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বককে নরম ও মসৃণ করে তুলে। অ্যাভোকাডোর ভিটামিন এইচ নতুন চুল গজাতে বেশ কার্যকরী। তারুণ্য ধরে রাখতে অ্যাভোকাডোর ফেসপ্যাক ত্বকের কালচে ভাব দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে। কারণ এই ফলের মধ্যে রয়েছে এলিক এসিড। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে নরম কোমল, উজ্জ্বল ও সুস্থ রাখে।

জ) বাঙ্গি বা ফুটিঃ bangla health tips এর এই পর্বে আলোচনা করছি বাঙ্গি নিয়ে। বাঙ্গি বা ফুটি খাওয়া ত্বক, চুল ও শরীরের জন্য খুবই উপকারী। যদিও এই ফলটি অনেকেই খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে, এই ফলটির রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। বাঙ্গি বা ফুটি ভিটামিন বি, সি, শর্করা এবং ক্যারোটিন সমৃদ্ধ। ত্বকের কুচকে যাওয়া ভাব ও ফ্রি রেডিক্যাল থেকে ত্বককে রক্ষা করতে বাঙ্গির অতুলনীয়।

বাঙ্গি ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর করে এবং এর প্রোটিন কম্পাউন্ড ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে ত্বককে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের ব্রনের সমস্যা কিংবা একজিমা সমসসায় যারা ভুগে থাকেন তাদের জন্য বাঙ্গি অনেক বেশি উপকারী। ভিটামিন বি এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ইন্সনিটোল যা নতুন করে চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া প্রতিরোধ করে। আবার নিয়মিত বাঙ্গি খেলে চুল অনেক স্বাস্থ্যজ্জল ও সুন্দর হয়।

ঝ) গ্রিন টিঃ ত্বক ও চুলের যত্নে গ্রিন টি দারুন উপকার করে। এটি ত্বকের চুলকানি ও প্রদাহ দূর করতে খুব উপকারী। এতে রয়েছে এক ধরনের Antioxidant যা বার্ধক্যের গতিকে ধীর করে আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ওজন কমাতেও জুড়ি মেলা ভার এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করুন ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে গ্রিন টি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এর ওজন কমানোর গুণের কারণে। এটি দেহের অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন অন্তত এক কাপ গ্রিন টি অবশ্যই পান করুন।

চেহারায় ও ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখতে এগুলো ছাড়াও আরো অসংখ্য ফল ও সবজি রয়েছে যা লিখে অথবা বলে শেষ করা যাবে না। তাই নিয়মিত ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাসই আপনার চেহারায় দীর্ঘদিন তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে। আমাদের bangla health tips এর এই বিষয়গুলো নিয়মিত ফলো করুন।

৩। মুখের ত্বক ১২ মাস ভালো রাখার ১০টি অসাধারন টিপসঃ

bangla health tips এর এই আলচনায় এখানে দেয়া ১০টি বিউটি টিপস ফলো করলে প্রাকৃতিক ভাবে আপনি ১২ মাস অর্থাৎ সারাবছরই আপনার ত্বক ভালো থাকবে ও সুন্দর থাকবে। এই টিপসগুলো তাদের জন্য দেয়া হয়েছে যারা প্রত্যেকদিন ব্যস্ত সময় পার করেন। এই ব্যস্ততার মধ্যে নিজের চেহারার যত্ন নেওয়ার একদমই সময় পান না তাদের জন্য এই টিপসগুলি বেশি কার্যকরী। এই টিপসগুলো আপনি ঘরোয়া কয়েকটি উপাদান ব্যবহার করেই বানিয়ে নিতে পারবেন। আপনাকে সময় বের করে পার্লারে যেতে হবে না। চলুন তাহলে বিউটি টিপসগুলো জেনে নেই।

০১। প্রত্যেকদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। প্রত্যেকদিন ০৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি নিয়মিত পান করুন। এতে আপনার শরীর হাইড্রেট ও টক্সিন ফ্রি থাকবে। শরীরের প্রত্যেকের জন্য যেমন পানির প্রয়োজন। তেমনি ত্বকের সৌন্দর্য জন্যও পর্যাপ্ত পরিমানে পানির প্রয়োজন আছে। তাই নিয়মিত পানি পান করলে আপনাকে অনেকটা উজ্জ্বল ও প্রানবন্ত দেখাবে।

০২। ভিটামিন- সি ও রঙিন শাকসবজি আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। ত্বকের সৌন্দর্য ও ত্বক থেকে দাগ তুলে ত্বককে কোমল মসৃণ রাখতে ভিটামিন- সি অত্যন্ত কার্যকরী। ভিটামিন-সি আপনার চেহারায় সহজে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি’র প্রভাবে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা পায়। তাই শরীরকে ডিটক্স রাখতে প্রত্যেকদিন সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে একটি লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করুন।

০৩। প্রতিদিন একটি আপেল খান। আপেলের ভিটামিন এ আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া ত্বক সুন্দর মসৃণ ও উজ্জ্বল করতে দুই চামুচ আপেল কুড়িয়ে নিয়ে এর মধ্যে আধা চামুচ কাগজি লেবুর রস মিশিয়ে আপনার ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে 20 মিনিট রেখেদিন। তারপরে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। রোজকার কর্মব্যস্ততা শেষে শোবার আগে আপনি এই টিপসটি কিছুদিন এপ্লাই করুন। আর দেখুন চেহারার ম্যাজিক। আপনার ত্বক আগের থেকে কতটা ফর্সা ও কোমল হয়ে গেছে।

আরও পড়ুনঃ ত্বকের সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আপেল খাওয়ার উপকারিতা

০৪। পাকা পেঁপে আপনার ত্বকের স্বাভাবিক রং ও ত্বকের মসৃণতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। সামান্য পরিমাণ পাকা পেঁপে চটকে মুখে লাগিয়ে 20 থেকে 25 মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখের ব্রণ ও মেছতা থেকে রেহাই পাবেন। একই সাথে আপনার মুখের স্কিনও ভালো থাকবে।

০৫। ত্বক থেকে যে কোন দাগ তুলতে লেবুর রসের ভূমিকা অনেক। মুখের দাগ ছোপ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল মসৃণ ও চকচকে করে তুলতে প্রতিদিন লেবুর রস মুখে ম্যাসেজ করুন। এতে দারুণ ফল পাবেন।

০৬। দুধের সাথে কমলালেবুর খোসা বেঁটে মুখে ও সারা গায়ে মাখলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে একটি নির্দিষ্ট সময় অথবা গোসলের আগে এই টিপসটি আপনি এপ্লাই করে দেখুন উপকার পাবেন।

০৭। হালকা উষ্ণ পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত গোসল করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ার পাশাপাশি ত্বকের ক্ষতিকর টক্সিন দূর হয়ে যায়।

০৮। শুষ্ক ও খসখসে ত্বকের জন্য ষ্টবেরি থেঁত করে 20 মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে রোদে বসে থাকুন। বিশ মিনিট পর পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখমন্ডল ভালো করে ধুয়ে নিলে মুখ মসৃণ হয় ও ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়ে যায়।

০৯। টমেটোর রস 15 মিনিট মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলে মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। আর মুখের রং উজ্জ্বল ও মসৃন হয়ে যাবে। চাইলে প্রতিদিন একটি করে লাল টমেটো কাঁচা খেতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ ত্বক সুন্দর রাখতে টমেটোর ফেসিয়াল

১০। ভাতের মাড় কিন্তু ত্বকের পরিচর্যায় দারুণ উপকারী। অথচ আমরা এই ভাতের মাড়টি ফেলে দেই। এখন থেকে আর ফেলে না দিয়ে ব্যবহার করুন। আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রেখে ত্বক থেকে কালচে ভাব দূর করতে চাইলে ভাতের মাড় ব্যবহার করে দেখুন। ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে এই ভাতের মাড়। আপনি অল্প পরিমাণ ভাতের মাড় ঠান্ডা করে নিয়ে সারা মুখে 15 মিনিট পর্যন্ত মেসেজ করুন। তারপর শুকিয়ে গেলে মুখ সুন্দর করে ধুয়ে নিন। এতে আপনার ত্বক পরিষ্কার ও কোমল হয়ে যাবে ও হাইড্রেট থাকবে। পাশাপাশি আপনি ভেতর থেকে ভালো অনুভব করবেন।

আরও পড়ুনঃ ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও রূপচর্চায় মুলতানি মাটির উপকারিতা

আশাকরি উপরে দেয়া bangla health tips গুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। সুস্থ ও সুন্দর থাকতে চাই নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস। তাহলে স্বাস্থ্য ও চেহারা দুটোই সুন্দর থাকবে সবসময়। আর আপনিও ফিট থাকবেন সবসময়।

Leave a Comment

error: Content is protected !!