সন্তান নেয়ার পূর্ব প্রস্তুতি কেমন হওয়া উচিত ? Pre Conceptional Counselling বা Pre Pregnancy Planning কেন করবেন ? সন্তান ধারনের পূর্বে এসবের গুরুত্ব কতটুকু তা এখানে তুলে ধরা হল। একজন দম্পতিকে এগুলো অবশ্যই জানা বা সচেতন হওয়াটা জরুরী।
সন্তানের মুখ থেকে বাবা-মা ডাক শোনার আকাঙ্ক্ষা কিন্তু প্রত্যেকটি দম্পতিরই থাকে। সন্তানের এই বাবা-মা ডাকের যে কি আনন্দ সেটা কখনও ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তাই অনেকে বিয়ের পরপরই বাচ্চা নেয়ার জন্য চেষ্টা শুরু করে দেন।
তবে অনাগত ঐ সন্তানকে পৃথিবীতে আগমনের পূর্বে সন্তান নেয়ার পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে প্রত্যেক বাবা-মায়ের উচিত একটু সচেতন হওয়া, কিছুটা প্রস্তুতি নেয়া। বিশেষ করে মায়ের বেলায় বা যিনি Pregnant হবেন তাঁর এই বিষয়টা বেশী গুরুত্ব দেয়া উচিত।
তবে আমাদের দেশে অনেকেই এই Pre Conceptional Counselling টা করেন না বা করতে চান না। অনেক উন্নত দেশের তুলনায় আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ অনেকটাই পিছিয়ে আছে এই বিষয়ে।
আমাদের দেশে একটি প্রবাদ আছে যে, ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে প্রত্যেকেরই অন্তত এই বিষয়টি নিয়ে Pregnancy এর আগে অবশ্যই ভাবা উচিত। সিরিয়াসলি সন্তান নেয়ার পূর্বে কিছুটা প্রস্তুতি নেয়া উচিত।
সন্তান নেয়ার পূর্ব প্রস্তুতি বা Pre Conceptional Counselling বা Pre Pregnancy Planning কি ?
সন্তান নেয়ার পূর্ব প্রস্তুতি বা Pre Conceptional Counselling বা Pre Pregnancy Planning যাই বলেন না কেন এটার মূল বিষয়টি কি সেটা কিন্তু আমরা সকলেই বুঝতে পারছি বা জানি। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, যখন একজন দম্পতি হতে পারে আগে তাদের একটি বাচ্চা আছে এমন অথবা পুনরায় বাচ্চা নিতে চান।
এই বাচ্চা নেয়ার জন্য ট্রাই করার আগে যে কিছু কেয়ার বা পরামর্শ বা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন করা এগুলোই হল এখানে আলোচনার মূল বিষয়। সবগুলো মিলিয়ে এই যে একটা প্রসেস এটাই হলো সন্তান নেয়ার পূর্বপ্রস্তুতি বা Pre Pregnancy Care.
সন্তান নেয়ার পূর্ব প্রস্তুতি বা Pre Conceptional Counselling বা Pre Pregnancy Planning কখন থেকে নেয়া প্রয়োজন ?
সাধারণত এই কাউন্সিলিংকটা বাচ্চা নেয়ার একটু আগে থেকেই গ্রহণ করা উচিত। ধরুন আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে আপনি সন্তান নিতে চাচ্ছেন। তখন সাধারনত তার তিন (০৩) থেকে ছয় (০৬) মাস আগে থেকেই Pre Counselling টা শুরু করা ভালো।
তাহলে হবে কি Pregnancy মায়ের যদি কোন সমস্যা বা অসুবিধা থেকে থাকে। তাহলে সেই সমস্যাটাকে রিমুভ বা সংশোধন করে তারপর তিনি বাচ্চা নিতে পারেন বা বাচ্চার জন্য ট্রাই করা শুরু করতে পারেন।
অর্থাৎ ঐ দম্পতিকে একজন অভিজ্ঞ মহিলা কনসালটেন্ট এবং গাইনী বিশেষজ্ঞর কাছে যাওয়া। কারণ এই তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে যদি Pregnancy মায়ের কোনো শারীরিক অসুবিধা থেকে থাকে।
তখন ডাক্তার তার চিকিৎসা করার সুযোগ পাবেন। তখন Pregnancy মায়ের সুস্থ হওয়ার সুযোগ থাকে। ফলে বাচ্চা নেয়ার পর গর্ভকালীন বাচ্চার উপর কোন প্রভাব পড়ার কোন সম্ভাবনা থাকেনা।
তাহলে বুঝতেই পারছেন প্রত্যেক দম্পতির এই Counselling করে নেয়াটা কতটা জরুরী। কিন্তু অনেকেই Pre Counselling টা করতে চান না বা এটা নিয়ে ভাবেন না। তারা মনে করেন আগে কনসেপ্ট করে নেই তারপর না হয় ডাক্তারের কাছে যাব।
তবে ডাক্তারের কাছে যে সবাইকেই যেতে হবে তাও কিন্তু না। আপনি যদি বিষয়গুলি সম্পর্কে আগে থেকেই সচেতন থাকতে পারেন। বিষয়গুলি সম্পর্কে আপনি জানেন, বুঝতে পারেন বা কিছুটা ধারণা থাকে তাহলে নিজেরাই Pre Counselling টা ঘরে বসে করতে পারেন।
যখন আপনি মনে করবেন যে আপনার একজন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত বা কি করবেন বুঝতে পারছেন না। তখন ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন। তবে পূর্বে মা হয়েছেন এমন কোন বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়র সাথেও এই Pre Counselling টা আপনারা করে নিতে পারেন।
বয়সের সাথে সন্তান নেয়ার পূর্ব প্রস্তুতি বা Pre Conceptional Counselling এর গুরুত্ব কতটুকু ?
বাচ্চা নেয়ার জন্য অবশ্যই একটি আইডিয়াল বয়স আছে। যিনি বাচ্চা নিতে ইচ্ছুক তার বয়সটা এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এই Pre Counselling এর ক্ষেত্রে। এটা এই জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে, আমাদের দেশে একটি মেয়ের বিয়ের বয়স যদিও ১৮ বছর। কিন্তু অনেক মেয়েদের বিয়ে ১৮ বছর হবার আগেই হয়ে থাকে এবং হচ্ছে।
তাই যখন এই কম বয়সের কোনো মেয়ে Pre Counselling এর জন্য একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাবেন। তখন ডাক্তার ওই মেয়েকে অবশ্যই আরো দুই-তিন বছর দেরি করতে বলবেন। কারণ ১৮ বছর বয়সে ওই মেয়েটার শরীরটা বাচ্চা নেওয়ার ক্ষেত্রে উপযুক্ত হয় না।
তাই এক্ষেত্রে ডাক্তারগণ বিশ থেকে তেইশ বছরকে সাজেস্ট করে থাকেন কোন মেয়েকে প্রথম বাচ্চা নেওয়ার জন্য। কারণ কম বয়সে বাচ্চা নিতে গেলে কিছু কিছু শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে। যার কারণে ডাক্তাররা তাকে কিছুটা দেরী করে বাচ্চা নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
আবার দেখা যায়, দম্পতী দুজনেই চাকরি করেন। তাই তাদের কর্মব্যস্ততার দোহাই দিয়ে আরও পরে অর্থাৎ ত্রিশ বছরের পরে যদি বাচ্চা নিতে পরামর্শ চান তখন তাদের জন্য সাজেস্ট করেন ত্রিশ বছরের পর না গিয়ে ত্রিশ বছরের আগেই প্রথম বাচ্চাটা নিয়ে নেওয়া উচিত।
তাই একজন মাকে বাচ্চা বা সন্তান নেয়ার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে অবশ্যই বয়সের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এটা শুধু একটা মেয়েকে লক্ষ্য রাখলেই হবে না। তার স্বামী, বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি সবাইকেই এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
Pre Counselling এর জন্য কি স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই কি পরীক্ষার জন্য যেতে হবে ?
যেহেতু স্ত্রী প্রেগন্যান্ট এর বিষয়ে স্বামীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই দুজনকেই একসঙ্গে Pre Counselling এর জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। তবে যেহেতু এটি Pre Counselling এর জন্য যাওয়া।
তখন কিন্তু বাচ্চার জন্য কোন প্রকার চেষ্টা না করেই তারা ডাক্তারের কাছে চলে যান পরামর্শের জন্য। তাই তখন আসলে সঠিকভাবে পরিস্কার বুঝা যায়না যে মেয়েটার স্বামীর কোন টেস্ট করা লাগবে কিনা।
তবে যেহেতু প্রেগন্যান্ট হবেন মহিলা। তাই মেইনলি মহিলাকেই স্ক্রিনিং করানো হয় বেশি। ডাক্তার আগে উভয়ের History নিবেন। তারপর যদি তাদের মধ্য হতে কোন অতীত বা পারিবারিক ইতিহাস থেকে কিছু চলে আসে। যেমন- রক্ত শূন্যতা, ডায়াবেটিস বা অন্য কোন সমস্যা যদি থাকে। তখন দুজনেরই টেস্ট করাতে হতে পারে।
কিছু কিছু জিনিস যেগুলো দুজনের মধ্যেই থাকতে পারে। তখন ডাক্তারের কাছে উভয়ে একত্রে Pre Counselling এর জন্য গেলে ডাক্তার তখন Counselling করে বলতে পারবেন।
অনেক সময় দেখা যায় পুরুষটি ধূমপানে আসক্ত থাকেন। তখন তাকে পরামর্শ দেয়া হয় একেবারে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। আর যদি না পারেন তাহলে বাইরে খেয়ে আসতে পারেন এবং বাচ্চার মা যেন এর কোন গন্ধ না পান সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তবে অতীত ইতিহাস থেকে কোনো তথ্য না আসলে সাধারণত স্বামীর কোন টেস্ট করানো হয় না এই সময়টাতে। মেইনলি মহিলাদেরই টেস্ট করানো হয়।
সন্তান নেয়ার পূর্ব প্রস্তুতি বা Pre Conceptional Counselling এর ক্ষেত্রে ওজন কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ ?
Pregnancy গ্রহনের প্রস্তুতির সময় বাচ্চার মায়ের শারীরিক ওজন অনেক বড় একটি ফ্যাক্টর। আমাদের দেশে অনেক মেয়েই বাচ্চা হওয়ার সময় আন্ডার ওয়েট থাকেন বা ওজন কম থাকে। আবার অন্যদিকে ওভার ওয়েট হয়ে থাকাটাও কিন্তু একটি সমস্যা। তাই এক্ষেত্রে স্বাভাবিক উজন থাকা জরুরী।
একজন Pregnancy মায়ের আইডিয়াল ওজনের কথা যদি চিন্তা করেন তাহলে একটি মেয়েকে অবশ্যই সর্বনিম্ন ৫০ কেজি হতে হবে। কোন কারণে যদি তার ওজন ৫০ কেজির কম হয় তাহলে ৫০ কেজির উপরে ওজন বাড়ানোর জন্য সাজেস্ট করা হয় প্রেগনেন্সির আগে।
কারণ Pregnancy এর সময় বাচ্চার মায়ের ওজন যদি কম থাকে তাহলে বাচ্চার ওজনও কিন্তু কম আসবে। এছাড়া আরো অন্যান্য জটিল সমস্যাও দেখা দিতে পারে। আবার বাচ্চার মা অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
আবার ওভারওয়েট হলেও মায়ের Pregnancy হতে অসুবিধা হতে পারে। আবার বাচ্চা এলেও বাচ্চার বিভিন্ন রকম সমস্যা হতে পারে। মায়ের ডেলিভারি হতে সমস্যা হতে পারে। এছাড়া ব্লিডিং এর সমস্যা হতে পারে। সেজন্য পরামর্শ হলো মা যদি ওভার ওয়েট হন তাহলে বাচ্চা নেওয়ার আগেই তার ওজনটা কমিয়ে নেওয়া জরুরী।
দম্পতী দুজনেই জব করায় পেশাগত কারণে নিজেদের কে সময় দিতে পারছেন না। তাই Pre Counselling এর ক্ষেত্রে তাদের জন্য পরামর্শ কি?
হ্যাঁ এমন অনেকেই আছেন যারা দুজনে জব করেন। দেখা যায় কারও ডিউটি টা একটু বেশী বা লংটাইম সময় ধরে অফিস করতে হচ্ছে। একজনের আগে অফিস ছুটি হয় তো আরেকজনের আরো পরে। আবার দেখা যায় দুজন দুই জায়গায় জব করেন। ফলে সহজে দুজন একত্রে সময় দিতে পারছেন না।
তাঁরা Pre Counselling এর জন্য গেলে ডাক্তার তখন Counselling করে যে সমস্ত পরামর্শ দিয়ে থাকেন তা হল, যেহেতু তারা সুযোগ পাচ্ছেন না তাই ছুটির দিনগুলোতে অন্তত দুজন দুজনকে সময় দেয়ার জন্য বলেন। প্রয়োজনে দুজন একত্রে কিছুদিন ছুটি কাটাতে পারেন। কর্মপরিবেশ থেকে বেরিয়ে কোথাও বেড়াতে যেতে পারেন।
তবে ডাক্তারের মতে পিরিয়ডের ১২ থেকে ২০ দিন এই সময়টাতে অবশ্যই দুজন একটু রিল্যাক্সে থেকে ট্রাই করতে পারেন বাচ্চা নেয়ার জন্য। কারণ এই সময়টা বাচ্চা নেয়ার জন্য উপযুক্ত সময়। এই সময়টায় দুজনেই ছুটি কাটাতে পারেন। ফলে প্রেগনেন্সির জন্য সহজ হবে।
কাজিন বা নিকট আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে হলে তাদের জন্য Pre Conceptional Counselling এ তাদের করণীয় কি?
এই ধরনের বিয়ে এখন আমাদের সমাজে হচ্ছে। কাজিন কাজিন এর মধ্যে বিয়ে হচ্ছে। দেখা গেছে ছোটবেলা থেকে একত্রে বড় হয়ে দুজনের মধ্যে ভালো লাগার সৃষ্টি হয় এবং পরবর্তীতে তারা দুজন দুজনকে বিয়ে করে ফেলেন।
কাজিনদের মধ্যে বিয়ে হলেই যে বাচ্চা হতে সমস্যা হবে তা বলা যায় না। একটা হচ্ছে বিভিন্ন জেনেটিক্স বা জন্মগত রোগ থাকে। দেখা যাচ্ছে দুজনেই হয়তো সুস্থ আছেন। কিন্তু জন্মগতভাবে কিছু রোগ তারা বহন করছেন।
এরকম টা দুজনের মধ্যেই হলে বাচ্চার সমস্যা হতে পারে। আবার সমস্যা নাও হতে পারে। তারপরও যাওয়া উচিত ডাক্তারের কাছে Pre Conceptional Counselling এর জন্য। কারণ ডাক্তার দুজনের কাছ থেকেই হিস্ট্রি শুনবেন। কিছু কমন জেনেটিক রোগ আছে যা খুঁজে দেখবেন।
যদি থাকে তাহলে সেই সমস্ত টেস্ট করতে বলবেন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় দুজনেই একজন জেনেটিক্স রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া Pre Conceptional Counselling এর জন্য। তখন সেই ডাক্তার আরও ভাল বলতে পারবেন।
Pre Conceptional Counselling এর সময় স্বামী স্ত্রী দুজনের লাইফ স্টাইল কেমন হওয়া উচিত ?
অবশ্যই এই সময়টাতে দুজনের লাইফ স্টাইলটা অন্যরকম হবে। অন্যান্য সময়ে যেভাবে চলেছেন বা খেয়েছেন বাচ্চা নেওয়ার আগের এই সময়টায় এসে দুজনেই তাদের জীবনযাত্রার মধ্যে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। হাজব্যান্ড ধূমপান করেন বা এলকোহলে আসক্ত থাকলে তা অবশ্যই তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে। মহিলার ক্ষেত্রেও তাই করতে হবে।
বাইরের ফাস্টফুড গুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারলে ভালো হয়। এই সময়ে হেলদি খাবার গুলো বা আয়রনসমৃদ্ধ হেলদি খাবার গুলো খাওয়া উচিত। যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে ডায়াবেটিস ডায়েট মেনে খেতে হবে ও এক্সারসাইজ করতে থাকতে হবে।
আর যদি কোন সমস্যা থাকে, তাহলে সেই সমস্যা অনুসরণ করে ডাক্তারের নির্দেশনা মেনে চলুন। ডাক্তার তাদেরকে যেই পরামর্শ দিবেন বিশেষ করে যিনি মা হবেন। Pregnancy মায়ের কর্ম পরিবেশের পরিবর্তন আনতে হবে। জার্নি বা বাসের যাতায়াত অ্যাভয়েড করে চলতে হবে।
আশাকরি আপনারা সন্তান নেয়ার পূর্ব প্রস্তুতি বা Pre Conceptional Counselling এর গুরুত্ব কতটুকু তা বুঝতে পেরেছেন। পাশাপাশি অনেক কিছু জানতে ও বুঝতে পেরেছেন।
তাই যারা বাচ্চা নেওয়ার জন্য ট্রাই করছেন তারা অবশ্যই বাচ্চা নেয়ার আগে একজন ভাল ডাক্তারের কাছে যাবেন পরামর্শের জন্য। এতে করে বাচ্চা এবং বাচ্চার মা দুজনেরই মঙ্গল হবে।
1 Comment
Good Post. I like your post. Everybody should read this article.