মেদ ভুঁড়ি কমানোর উপায় জেনে নিন। এখন থেকে আর ভুঁড়ি বাড়বে না ! আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের দুশ্চিন্তা শুধু তাদের ওজন নিয়ে নয়। তাদের দুশ্চিন্তা হলো পেটের ভুঁড়ি কেন বাড়ছে। সেটা ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক উভয়েরই একটা টেনশনের কারন।
আমাদের ওজন বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি মেদ ভুঁড়িও বাড়তে থাকলে দুশ্চিন্তার যেমন শেষ নেই। তেমনি বাহ্যিক দৃষ্টিতেও দেখতে বিশ্রী লাগে অনেক।
তাও আবার যদি এই মেদ ভুঁড়ি অল্প বয়সেই বেড়ে যায় তাহলে তো কথাই নেই। তাই সবাই খুঁজে মেদ ভুঁড়ি কমানোর উপায়। আর চায় তাদের মেদ ভুঁড়ি যেন সুন্দর আর ফ্ল্যাট থাকুক সবসময়। তবে এই ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়ার সমস্যাটা আমাদের বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে খুব বেশি আকারে দেখা যায়।
বিশেষ করে ছেলেদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়। তবে যারা সবসময় চেয়ারে বসে কাজ করছেন তাদের মধ্যে এই ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা একটু বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
আমরা যদি আমাদের নিজের ভুঁড়ি কমাতে চাই তাহলে অবশ্যই কিছু নিয়ম আমাদেরকে মানতে হবে। আর এই নিয়মগুলো ঠিকমত মানতে পারলেই আমাদের ভুঁড়ি কখনো আর বাড়বেনা।
তবে প্রথমেই মেদ ভুঁড়ি কমানোর উপায় না খুঁজে আগে আমাদের জানতে হবে কেন আমাদের ভুঁড়ি বা মেদ বাড়ছে। আমরা যদি এইটা আগে বের করতে পারি তাহলেইত সাবধান হয়ে যেতে পারি তাইনা ?
চলুন জেনে নেই কি কি কারনে আমাদের ভুঁড়ি বা মেদ বাড়ছেঃ
আমাদের চারপাশের পরিবেশ, আমাদের কর্মক্ষেত্র, আমাদের দৈনন্দিনের লাইফ স্টাইল সবদিক বেবেচনা করে ভুঁড়ি বা মেদ বাড়ার জন্য নম্নলিখিত কয়েকটি কারন আমরা খুঁজে পাই। যেমন-
- ভুঁড়ি বা মেদ বাড়ার প্রথম কারণটি হলো সময়মতো আমাদের খাবার না খাওয়া। বিশেষ করে যারা রাতের খাবার দেরি করে খান এবং খেয়েই দ্রুত শুয়ে পড়েন। তাদের ক্ষেত্রে মেদ বা ভুঁড়ি বাড়ার প্রবণতাটা সবচাইতে বেশি হয়ে থাকে।
- ভুঁড়ি বা মেদ বাড়ার দ্বিতীয় কারণটি হলো যে কোনো খাবার গ্রহণের পরপরই যদি আপনি প্রচুর পরিমানে পানি খান। তাহলে আপনার মেদ ভুঁড়ি বাড়ার প্রবণতা বেশি থাকে।
- ভুঁড়ি বা মেদ বাড়ার তৃতীয় কারণটি হলো অফিসে বা কর্মক্ষেত্রে আপনার চেয়ারে বসার পজিশনটা যদি ঠিক না থাকে। সেটাও কিন্তু আপনার ভুঁড়ি বাড়াতে সাহায্য করবে। চেয়ারে সঠিকভাবে বসার নিয়ম হলো ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে কোমর সোজা হয়ে বসা। অর্থাৎ আপনি যদি চেহারা ৯০ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেলে না বসে অন্য কোন অ্যাঙ্গেলে সব সময় বসেন। তাহলে ধীরে ধীরে আপনার ভুঁড়ি বা মেদ বেড়ে যেতে পারে।
- ভুঁড়ি বা মেদ বাড়ার চতুর্থ কারণটি হলো যারা বেশী বেশী তেল বা চর্বি জাতীয় খাবার খান। যারা একটু বেশী চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবারটা বেশী খান। তাদেরও ভুঁড়ি বাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
এছাড়া আবার যারা অ্যালকোহলে এডিক্টেড বা যারা বেশী পরিমাণে মদ্যপান করে থাকেন তাদের ভুঁড়ি বাড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে। একটা বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, অ্যালকোহল বা বিয়ার পান করা থেকে আপনার লিভারের সমস্যা ছাড়াও আপনার মেদ ভুঁড়ি বেড়ে আপনার দেহের ওজনটাও কিন্তু বাড়িয়ে যেতে পারে। যারা নিয়মিত ধূমপান করেন তাদেরও একই পরিনতি হতে পারে।
একটা সময় আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, ধরেন আপনার খাওয়ার অভ্যাসটা যদি এমন হয় ! যে সারাদিন কিছু না খেয়ে শুধুমাত্র একবেলা ভুঁড়িভোজ করছেন। অর্থাৎ অনেক বেশি খাবার ঐ সময়টাতে একসাথে খেয়ে নিলেন। সেটাও কিন্তু ধীরে ধীরে আপনার ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
এছাড়াও ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়ার আরো অনেক কারণ রয়েছে। যেমন আপনি যদি নিয়ম করে দৈনিক না হাঁটেন। যদি অতিরিক্ত কার্বো হাইড্রেট জাতীয় খাবার খান, বেশি ক্যালরিযুক্ত এবং অতিরিক্ত ফ্যাট খান সেক্ষেত্রে মেদ ভুঁড়ি বেড়ে যেতে পারে।
জেনে নিন মেদ ভুঁড়ি কমানোর উপায় ও আমাদের করনীয় কিঃ
মেদ ভুঁড়ি কমানোর জন্য অনেক আগে থেকেই আপনাকে বেশি সিরিয়াস হতে হবে। আপনাকে সতর্ক হতে হবে এবং ভুঁড়ি যাতে না বাড়ে সেজন্য আপনাকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
অর্থাৎ আপনাকে প্রতিদিন নিয়ম করে এক ঘন্টা থেকে চল্লিশ মিনিট হাঁটতে হবে। সময়মতো খাওয়া রাতের খাবার একটু আগে ভাগে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। বিশেষ করে আপনার রাতের খাবারটার পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে ফেলতে হবে।
ভুঁড়িকে কমিয়ে ফেলার জন্য অফিসে বা বাসায় আপনার বসার পজিশনটা সর্বদা ঠিক রাখতে হবে। সর্বদা ৯০ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেলে সোজা হয়ে বসতে হবে। প্রতি এক থেকে দেড় ঘণ্টা পরপর চেয়ার ছেড়ে উঠে আপনাকে একটু হাঁটতে হবে। এই ধরুন দুই তিন মিনিট হাঁটতে হবে। জাস্ট একটু পায়চারি করা। এই অভ্যাসটা করতে পারলে আপনার ভুঁড়ি না হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক কাজ করবে।
খাবারের আগেই আপনি বেশী করে পানি খেয়ে নিতে পারেন। কিন্তু খাওয়ার সাথে ও খাবারের পর পর পানি খাওয়া থেকে আপনাকে বিরত থাকতে হবে।
এক বেলায় বেশী বেশী করে খাবার না খেয়ে সারাদিনের খাবারগুলোকে ছোট ছোট ভাগ করে একটু পর পর খেতে পারেন। সেটা কিন্তু আপনার ভুঁড়ি বাড়া থেকে প্রতিরোধ করবে।
খাদ্য তালিকাতে শাক সবজি ও ফলমূল বেশী করে রাখুন। দুধ চিনি যুক্ত চা পরিহার করে গ্রীন টি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে দ্রুত আপনার পেটের মেদ ভুঁড়ি কমে যাবে।
অতিরিক্ত চিনি, মিষ্টি, অ্যালকোহল বা স্যাচুরেটেড ফ্যাট অর্থাৎ তেল যুক্ত খাবার আপনাকে অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। সেই সাথে অলরেডি যাদের ভুঁড়ি বেড়ে গেছে তারা কিন্তু কাজের ফাঁকে ফাঁকে ভুঁড়ি কমানোর জন্য ব্যায়াম করতে পারেন।
যেমন- পেটকে একবার ভেতরের দিকে নিয়ে কিছুক্ষণ ধরে রেখে আবার ছেড়ে দিলেন। এভাবে কয়েকবার করে করতে পারেন। এভাবে ক্রমাগত কয়েকবার করলেই কিন্তু আপনার ভুঁড়ি অনেকটাই কমে যাবে।
সেই সাথে যারা যুবক যুবতী বা চল্লিশ বছরের নিচে আছেন তারা দরকার হলে ভুঁড়ি কমানোর জন্য ইউটিউব হতে ভিডিও লেসন বা ব্যায়াম দেখে নিজে নিজেই ভুঁড়ি কমাতে পারেন আপনার মেদ ভুঁড়ি।
কিন্তু চল্লিশ বছরের উপরে যারা আছেন। তারা নিজে নিজে এক্সারসাইজ না করে অবশ্যই একজন হেলথ এক্সপার্ট এর সাথে যোগাযোগ করে তাঁর পরামর্শ মতো ব্যায়াম করতে হবে আপনার ভুঁড়ি কমানোর জন্য।
কেননা বয়স চল্লিশের পর থেকেই আপনাদের অনেক ধরনের হাড়ের সমস্যা, মাসল এর সমস্যা শুরু হয়ে থাকে। তাই না বুঝে যে কোন এক্সারসাইজ না করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
বাংলাদেশের একজন ডাক্তার জনাব জাহাঙ্গীর কবির যিনি এরই মধ্যে ওজন কমানোর বিষয়ে অনেক খ্যাতি অর্জন করেছেন। যার পরামর্শ নিয়ে অনেকেই মেদ ভুঁড়ি আর ওজন কমিয়েছেন। তিনি তাঁর একটি সাক্ষাৎকারে মেদ ভুঁড়ি কমানোর উপায় সম্পর্কে খুব চমৎকার একটি সমাধান দিয়েছেন। তিনি বলেন,
মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যায়ামে আপনার পেটের সমস্ত চর্বি গলে গিয়ে আপনার মেদ ভুঁড়ি কমে যাবে।
চলুন জেনে নেই কখন এবং কিভাবে আপনি এই ব্যায়ামটি করবেনঃ
এই ব্যায়ামটির নাম হচ্ছে হিট এক্সারসাইজ। এই ব্যায়ামটি আপনাকে করতে হবে রোজ সকালে। অর্থাৎ সঠিক সময় হল সকাল ছয়টা থেকে সাতটা। এই হিট এক্সারসাইজ করলে আপনার হাত পায়ের মাসল বৃদ্ধি পাবে কিন্তু শরীরের ফ্যাট বার্ন করবে।
আপনার মেদ ভুঁড়ি কমাতে হিট এক্সারসাইজ করার আগে কিছু প্রস্তুতি নিতে হবে। যেমন- রাতে ঘুমানোর কয়েক ঘণ্টা আগেই খেয়ে নিবেন। তাহলে কি হবে ? আপনি যখন ঘুমাতে যাবেন ততক্ষণে পেটের খাবারগুলো হজম হয়ে যাবে। কিন্তু আপনার এনার্জিটা ঠিক থাকবে। ফলে সকালে যখন আপনি ঘুম থেকে উঠবেন তখন আপনার পেট খালি থাকবে।
ঠিক এই সময় ব্যায়ামটা করতে হবে। এজন্যই বিশেষজ্ঞরা সর্বদা সকাল বেলায় ব্যায়াম করতে বলেন। কারণ এই সময়টায় আপনার শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা কম থাকে। ফলে তখন ব্যায়াম করলে ফ্যাট বার্ন টা ভালো হয়।
হিট এক্সারসাইজ কিভাবে করবেনঃ
প্রথমে আপনি নিজেকে কিছুক্ষণ ওয়ার্ম-আপ করে হিট এক্সারসাইজ করার প্রস্তুতি নিয়ে নিতে হবে। তারপর হঠাৎ করে দৌড় দেয়া শুরু করুন। তবে দৌড়টা খুব জোরে দৌড়াতে হবে। মানে আপনি ইন্সট্যান্টলি খুব জোরে দৌড় দিবেন। অর্থাৎ আপনার শরীরের সমস্ত শক্তি টা এই দৌড়ের মধ্যে দিতে হবে। দৌড় শুরু করে মাত্র ২০ সেকেন্ড পর ১০ সেকেন্ডের জন্য একবার থামবেন।
পুনরায় ২০ সেকেন্ড দৌড়াবেন আবার ১০ সেকেন্ড রেস্ট নেবেন। এভাবে পাঁচ মিনিট পর্যন্ত ব্যায়াম করুন। আপনার শরীরের শক্তি অনুসারে এই ব্যায়ামের সময় টা বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে পারেন। তবে ধীরে ধীরে সময়টা বাড়াতে পারলে ভালো। হঠাৎ করে প্রথম দিনেই বেশী এক্সারসাইজ করে ফেললেন। আর পরদিন থেকে কমিয়ে করলেন এটা ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই ব্যায়ামের একটা সমতা থাকতে হবে। তাহলে দ্রুত আপনার পেটের চর্বি কমে যাবে এবং মেদ ভুঁড়িও আর থাকবে না।
এই হিট এক্সারসাইজ ব্যায়ামটির কিছু উপকারিতাঃ
- পেটের মধ্যে জমে থাকা সমস্ত চর্বি গলে কমে যাব।
- প্রেসার থাকলে সেটা কমে যাবে।
- রক্তনালীর চর্বি কমে যাবে।
- ডায়াবেটিস থাকলে কমবে।
- হৃদপিন্ডের রক্তনালীর চর্বি গলে যাবে।
- ব্রেনে চর্বি জমলে তার দূর হয়ে যাবে অর্থাৎ আপনার শরীরের সমস্ত জায়গা থেকে চর্বি গলে যাবে।
সাথে সাথে আপনার মেদ ভুঁড়িও আর থাকবে না। কমে যাবে আপনার বাড়তি ওজনও। আর আপনার মাসলগুলি মজবুত হবে এবং আপনাকে দেখতেও অনেক স্মার্ট ও সুন্দর লাগবে। এই হিট এক্সারসাইজ করলে শুধু আপনার ওজন কমবে না বরং আপনার ফিগারটাও দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে।
আরও ভালো উপকার পেতে এই ব্যায়ামের সাথে সাথে বিকালেও কিছুক্ষণ একটানা হাত-পা নেড়ে নেড়ে হাঁটুন। কিছুক্ষণ ফুটবল খেলুন অথবা সাইক্লিং করুন। সময়ের অভাবে যদি প্রত্যেকদিন না পারেন তাহলে সপ্তাহে অন্তত চার থেকে পাঁচ দিন এই ব্যায়ামটি আপনি করতে পারেন। প্রয়োজনে পুকুরে সাঁতার কাটতে পারেন। একটানা লম্বা সাঁতারও আপনার মেদ ভুঁড়ি কমাতে সাহায্য করবে।
মেদ ভুঁড়ি কমানোর উপায় ও কিছু পরামর্শঃ
পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং নিয়মিত একটানা সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম শরীর সুস্থ সবল থাকার জন্য জরুরী। পরিমিত আহার করুন। এমন খাবার খাবেন যেটা শরীরে সর্বদা ইনসুলিনের মাত্রা কমিয়ে রাখবে। শর্করা জাতীয় খাবার বেশি করে খাবেন। তাই শুধুমাত্র শাক-সবজি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। এগুলো খাবেন ১০ শতাংশ।
প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবেন ২০ শতাংশ। বাকি ৭০ শতাংশ হেলদি খাবার খেতে পারেন। যেমন- এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল, অর্গানিক বাটার, অ্যাভাকাডো (অ্যাভাকাডো দেহে রক্ত সঞ্চালন ও রক্তবাহী ধমনী ও শিরাকে কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া শরীরের ওজন কমাতেও অ্যাভাকাডো ভাল কাজ করে), মাছের তেল ও ডিম।
প্রত্যেকটি কাজেরই একটি নির্দিষ্ট নিয়ম শৃঙ্খলা থাকে। ঘরের আসবাবপত্রগুলো সাজিয়ে গুছিয়ে রাখলে ঘরটাকে যেমন সুন্দর দেখায়। তেমনি আপনার শরীরের সৌন্দর্য হল নিয়মিত ব্যায়াম। তাই আপনার শরীরটাকে সুস্থ সবল ও দর্শনীয় করতেও নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে।
তাই এখন থেকে আয়নার সামনে গিয়ে বারবার নিজের ভুঁড়ি দেখে মন খারাপ না করে মেদ ভুঁড়ি কমানোর উপায় গুলো নিয়মিত ফলো করে চলুন। তাহলে অবশ্যই আপনার মেদ ভুঁড়ি কমে যাবে। তাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।