প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় এর গোপন নাইট ক্রিম কিভাবে বানাতে হয় জেনে নিন। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই চায় তাদের ত্বক ও ত্বকের লাবণ্যতা সারা জীবন অক্ষুন্ন থাকুক।
বয়স যতই বাড়ুক না কেন চেহারায় যেন বয়সের কোন ছাপ না পড়ে এবং চেহারার সৌন্দর্য কখনো যেন নষ্ট হয়ে না যায়। তাই আপনাদের জন্য এমন একটি ফেস ক্রিম নিয়ে আলোচনা করব সেটা ব্যবহারে আপনি দ্রুত ও দীর্ঘমেয়াদে ফর্সা আর সুন্দর থাকতে পারবেন।
আপনার অনুজ্জ্বল আর ডার্ক হয়ে যাওয়া ত্বককে খুব দ্রুত ফর্সা আর সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করবে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় এর এই গোপন নাইট ফেইস ক্রিম। এই ক্রিমটি দুই ধরণের ত্বকের জন্য দুই ভাবে তৈরি করে দেখানো হয়েছে। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী আপনার রূপচর্চায় অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় হিসাবে এটি নিয়মিত ব্যাবহারে কোন সাইড ইফেক্ট নেই। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং কোন প্রকার কেমিক্যাল না থাকায় আপনি ন্যাচারালি অনেক ফর্সা হয়ে উঠবেন। তাহলে চলুন জেনে নেই প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় এর ১০০% হালাল উপাদান দিয়ে ত্বকের গোপন নাইট ক্রিম কিভাবে তৈরি করবেন।
আপনার ত্বককে দ্রুত ফর্সা ও সুন্দর করে তুলতে যে গোপন উপাদানটি ব্যবহার করা হয়েছে তা হলো ভাত রান্নার চাল বা চাউল। প্রথমে আপনি দুই টেবিল চামুচ চাউল ভালো করে ধুয়ে সারারাতের জন্য পানির মধ্যে ভিজিয়ে রেখে দিন।
তাহলে চাউল পানি টেনে নিয়ে অনেক সফট আকার ধারণ করবে। তারপর পানি সহ চাউল সমূহ একটা ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। তাহলে সমস্ত চাউল গুঁড়া হয়ে পানিটা দুধের মত সাদা রঙ ধারন করবে।
এখন পানি টা ভালো করে ছেঁকে আলাদা করে নিতে হবে। যেন পানির মধ্যে কোন দানা না থাকে। আর চাউলের অবশিষ্ট দানাদার অংশসমূহ আপনি চাইলে ফেলে না দিয়ে আপনার মুখের ফেসিয়াল স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এখন এই পানিটা পরিষ্কার একটি পাত্রে ঢেলে নিন।
তারপর পানিটাকে চুলায় দিয়ে মিডিয়াম আঁচে ভাল করে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না পর্যন্ত পানির ঘনত্ব কমে গিয়ে ভেতরে একটা ক্রিমি ভাব না আসে। তারপর চুলা থেকে নামিয়ে আনুন এবং ভাল করে ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা হবার পর ক্রিম টাকে ভালো করে আলাদা দুটি পাত্রে নিয়ে নিন।
তবে খেয়াল রাখবেন ক্রিমটার মধ্যে যেন অন্য কোন উপাদান বা ময়লা না মিশে। ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় এর গোপন নাইট ফেইস ক্রিম।
সাধারণত আমাদের ত্বক সবসময় কিছুটা শুষ্ক ও অয়েলি এই দুই ধরনের হয়ে থাকে। তাই আপনি আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী কোন ধরনের ত্বকে কিভাবে এই ক্রিমটা ব্যবহার করবেন তা আলোচনা করছি।
১। শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রস্তুত প্রণালীঃ প্রথমে দুই টেবিল চামুচ অ্যালোভেরা জেল ও এক চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে চাউলের ক্রিমের সাথে ভাল করে মিশিয়ে নিন। হাতের কাছে যদি অলিভ অয়েল না থাকে তাহলেও সমস্যা নেই।
অলিভ অয়েলের পরিবর্তে দুটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে দিতে পারেন। তবে যাঁদের ত্বক শুষ্কতার জন্য ফেটে ফেটে যায় তারা এই মিশ্রণটির মধ্যে সামান্য গ্লিসারিন এড করে নেবেন।
এখন সবগুলো উপাদান একটু সময় নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশানো শেষে ক্রিমটা একটি এয়ারটাইট কৌটায় সংরক্ষণের জন্য ভরে রাখুন।
আপনি ক্রিমটি ফ্রিজের নরমাল টেম্পারেচারে পুরো এক সপ্তাহ রেখে ব্যবহার করতে পারবেন। তারপর শেষ হয়ে গেলে পুনরায় একই নিয়মে বানিয়ে নিতে পারেন।
ক্রিম এর ব্যবহার প্রণালীঃ এই ক্রিমটি প্রতিদিন রাতে শোয়ার সময় আপনার ত্বকে বা মুখে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে মেসেজ করে করে লাগিয়ে নিবেন এবং সকালে ঘুম থেকে উঠার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বকের প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় হিসাবে এই ক্রিমটি নিয়মিত পনের দিন ব্যবহার করুন।
২। অয়েলি ত্বকের জন্য প্রস্তুত প্রণালীঃ প্রথমে দেড় টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল ও ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে এক টেবিল চামুচ খাঁটি মধু নিয়ে চাউলের ক্রিমের সাথে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তবে অয়েলি ত্বকের জন্য সবসময়ই একটু বাড়তি যত্ন নিতে হয়।
সাধারণত এই ধরনের ত্বকে ময়লা জমে বেশি। ফলে ব্রণ ও নানারকম ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ বেশি হয়। তাই মিশ্রণটির মধ্যে এক চামুচ হলুদ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
এখন সবগুলো উপাদান একটু সময় নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশানো শেষে ক্রিমটা একটি এয়ারটাইট কৌটায় সংরক্ষণের জন্য ভরে রাখুন। আপনি ক্রিমটি ফ্রিজের নরমাল টেম্পারেচারে পুরো এক সপ্তাহ রেখে ব্যবহার করতে পারবেন। তারপর শেষ হয়ে গেলে পুনরায় একই নিয়মে বানিয়ে নিতে পারেন।
ক্রিম এর ব্যবহার প্রণালীঃ প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় হিসাবে এই ক্রিমটি প্রত্যেকদিন রাতে শোয়ার সময় আপনার মুখ ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তারপর আপনার ত্বকে বা মুখে মেসেজ করে করে লাগিয়ে নিবেন।
এবং পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন। প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হতে ক্রিমটি এভাবে নিয়মিত পনের দিন ব্যবহার করুন।
অনেকেই আছেন যারা স্কিনের বাড়তি যত্নে আলাদা টোনার ইউজ করেন। তারাও এই ক্রিমটাকে ত্বকের একটি উৎকৃষ্ট মানের টোনার হিসেবেও ইউজ করতে পারেন।
জানা গেছে যে, প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় হিসাবে চাউল দিয়ে বানানো এই বিশেষ ক্রিমটি জাপান ও কোরিয়ানরা বেশী ব্যবহার করে থাকে। তাই তাদের ত্বক সব সময় এক রকম সুন্দর থাকতে দেখা যায়।
য়ার কারনে এই ক্রিমে কোন প্রকার সাইড ইফেক্ট নেই। আবার শতভাগ হালাল উপাদান দিয়ে তৈরি বলে অনায়াসে সব বয়সের নারী-পুরুষ এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন।