ত্বক সুন্দর থাকার খাবার যেগুলো খেলে আপনি সবসময় সুন্দর থাকবেন। চেহারার মাঝে কখনও বয়সের ছাপ পড়বেনা। যে খাবারগুলো খেলে আপনি সবসময় যুবক বা যুবতী থাকতে পারবেন।
আচ্ছা বলুনত ? এই পৃথিবীতে কে না সুন্দর হতে চায় ? প্রত্যেকটি মানুষকে যদি তাদের ব্যক্তিগত চাহিদার একটি লিস্ট তৈরি করতে বলা হয়। তাহলে অবশ্যই তাদের চাহিদার লিস্টের প্রথমেই থাকবে তিনি সুন্দর হতে চান।
নিজেকে দেখতে যেন কম বয়সী মনে হয়। মুখের ত্বকটা যদি সুন্দর আর মসৃণ হত। মাথার চুলগুলো যদি কোঁকড়া না হয়ে ঘন কালো আর লম্বা হত। হাতের নখগুলো যদি দেখতে অনেক সুন্দর হত।
ঠোঁট টা যদি টুকটুকে লাল হত। গায়ের রং টা যদি আরও সুন্দর লাগতো দেখতে ইত্যাদি। সাধারণত এই চাহিদাগুলোই প্রত্যেকের লিস্টের প্রথমে থাকতো। কারণ এই সুন্দর গুনগুলি থাকা মানেই হল সেই ব্যক্তিটি দেখতে অপরুপ সুন্দর বা সুন্দরী।
ত্বক কি এবং কি দিয়ে তৈরি হল আমাদের এই ত্বক ?
ত্বক বা স্কিন হলো মূলত ফ্যাট এবং কানেকটিভ টিস্যু দিয়ে তৈরি। অর্থাৎ কোলাজেন নামক এক ধরনের প্রাকৃতিক প্রোটিন দিয়ে তৈরি আমাদের এই লার্জেস্ট অর্গান অফ বডি বা ত্বক। আমাদের ত্বক থেকে শুরু করে আমাদের হাত, পা, নখ, চুল, চোখ, দাঁত সহ সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গঠনে এই কোলাজেন বা প্রাকৃতিক প্রোটিনের ভূমিকা আছে।
সবসময় ত্বক সুন্দর রাখতে হলে ত্বক কিভাবে সুস্থ থাকে সেদিকে নজর দেয়া বা জানা জরুরী। তাহলেই সারাজীবন আপনার ত্বক সুন্দর থাকবে।
সুস্থ ত্বক মানেই হল সুন্দর ত্বক। ত্বকে নানান রকমের প্রসাধনী মেখে সুন্দর করার চাইতে ত্বকের খাবার বুঝে আমরা যদি সেই খাবারগুলো যদি প্রত্যেকদিন খাই তাহলেইত ভাল হয়না ?
এই ত্বকের সুস্থতায় এবং ত্বকের রং উজ্জ্বল হওয়ার জন্য আমাদের খাদ্য তালিকায় হেলদি ফ্যাট বা অসম্পৃক্ত বা আন স্যাচুরেটেড ফ্যাট রাখতে হবে। আরও ক্লিয়ারলি বলতে গেলে ওমেগা ৩ আর ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড যুক্ত খাবার আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
তার সাথে কিছু স্যাচুরেটেড ফ্যাট এর ভালো উৎস যেমন ঘী (অর্গানিক হলে ভালো হয়) এই জাতীয় খাবার আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। তাহলে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়তে সাহায্য করবে।
এছাড়া আমাদের খাদ্য তালিকায় সর্বদা ভাল চর্বি রাখতে হবে। অর্থাৎ যে চর্বিগুলো খেলে আমাদের দেহের ক্ষতিকর চর্বি বার্ন হয়ে উপকারী চর্বি গঠন হবে। যা আপনার ত্বক সুন্দর করতে সাহায্য করবে।
তাই ভালো চর্বির উৎস হিসেবে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল, ক্যানোলা অয়েল (ক্যানোলা অয়েল হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে), সী-ফিস অয়েল, অরগানিক ঘি ইত্যাদি আমাদের স্কিন বা ত্বকের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারি। অথবা ওমেগা- ৩ ওমেগা- ৬ এর সাপ্লিমেন্ট হিসাবে যেগুলো বাজারে কিনতে পাওয়া যায় সেগুলোও খেতে পারেন আপনার ত্বক সুন্দর রাখার জন্য।
এছাড়া বিভিন্ন ধরনের সিড বা বীজ যেমন মিষ্টি কুমড়ার বিচি, লাউ, তরমুজ, কাঁঠাল, মৌরি বীজ, সূর্যমুখী ফুলের বিচি, চিয়া সিড (chia seed) ইত্যাদি আমরা আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারি।
যে প্রাকৃতিক প্রোটিনটা শুরুতে বলা হয়েছে অর্থাৎ কোলাজেন যেটা দিয়ে আমাদের স্কিনটা তৈরি হয়েছে তার সুস্থতা রক্ষায় আপনাকে খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত এবং উচ্চ জৈব মূল্যের প্রোটিন রাখতে হবে। অর্থাৎ পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় নিশ্চিত করতে হবে।
আমাদের খাদ্য তালিকায় ডাল এবং ডাল জাতীয় খাবার ও এর সাথে সয়া প্রোডাক্ট রাখতে ভুলবেন না। ডাল জাতীয় খাবার এবং সয়া প্রোডাক্টে ফাইটো ইস্ট্রোজেন নামক এক ধরনের হরমোন থাকে। এই হরমোন মানব পুরুষের দেহে যে ইস্ট্রোজেন হরমোন থাকে অনেকটা তার গঠনের মতোই।
এই ইস্ট্রোজেন হরমোন কিন্তু মহিলাদের সৌন্দর্য বর্ধনে অনেকটাই সহায়ক। ইস্ট্রোজেন হরমোন প্রকৃতিগত ভাবেই দেহে হায়ালুরোনিক এসিড তৈরি করে। এই হায়ালুরোনিক এসিড সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত আছি। এটা আমাদের স্কিন কে ভালো রাখতে অর্থাৎ এণ্টি এজিং বা চেহারায় কম বয়সের একটা ইয়ঙ্গার লুক অক্ষুন্ন রাখতে ভূমিকা রাখে।
বিভিন্ন ধরনের এণ্টি এজিং ক্রিম তৈরিতে এই হায়ালুরোনিক এসিড ব্যাবহার করা হচ্ছে। তাই এই পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গুলো আপনার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে আপনার সুন্দর ত্বক পাওয়ার জন্য।
শুধু প্রোটিন এবং ফ্যাট খেলেই পর্যাপ্ত হয়না। আপনার খাদ্য তালিকায় অনু পুষ্টির চাহিদা পূরণ হচ্ছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখাটা খুবই জরুরী। এ ক্ষেত্রে ত্বকের সুস্থতায় আপনাকে বিশেষ কিছু উপাদান কে অনেক বেশী গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন- ই, ভিটামিন- সি, জিংক, সেলেনিয়াম, জিয়া জেন্থিন এবং পলিফেনল।
এগুলো এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে আমাদের শরীরে যেই সমস্ত ফ্রি রেডিকেল বা টক্সিন উৎপন্ন হয় যে গুলোকে রিমুভ করতে সাহায্য করে। এছাড়া বয়স হওয়ার আগেই বুড়ীয়ে যাওয়া বা বেশি বয়স্ক মনে হবার যে লুক সেটা কমাতে সাহায্য করে এই সমস্ত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান।
এই সমস্ত অ্যান্টি অক্সিডেন্টের সঠিক উৎস হিসেবে আমাদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই মৌসুমী সবুজ এবং রঙিন শাক সবজি রাখতে হবে। তাই প্রত্যেকদিন আপনার খাদ্য তালিকায় শাক-সব্জির একটি পদ রাখুন।
এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন যে খাবার আপনি গ্রহণ করছেন। তার সাথে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন আপনি বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন- আপেল, কমলা, গাজর, বিট রুট, শসা বা খিরা, সজনে পাতা, কমলা লেবু, আনার, টমেটোর জুস খেতে পারেন। তাহলে আপনার সৌন্দর্যের মাত্রা অনেক বৃদ্ধি পাবে। আপনার স্কিনকে সুন্দর আর উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।
এছাড়া আমাদের শরীরে ফ্রি রেডিকেল এর মাত্রা কমানোর জন্য অবশ্যই আমাদেরকে ভাজা পোড়া খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া ত্বক সুন্দর রাখার জন্য খাদ্যে অতিরিক্ত তেল গ্রহণ থেকে যতটা সম্ভব আপনাকে বিরত থাকতে হবে।
প্রতিদিন ১০ গ্রাম থেকে ২৫ গ্রাম যে কোনো ধরনের বাদাম আপনার খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করবেন। কারন বাদাম হলো ভিটামিন- ই, ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন এর একটি উৎকৃষ্ট উৎস। যা আমাদের ত্বকের ও দেহের সৌন্দর্য এবং দেহের গড়ন রক্ষায় সাহায্য করে থাকে।
এক্ষেত্রে অনেকে হয়তো মনে করতে পারেন যে অনেক দামী যে বাদামগুলো আছে সেগুলো বেশী করে খেতে হবে। দামী বাদাম খেলে হয়তো সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। আসলে এই ধারণাটা সম্পূর্ণরূপেই ভুল ধারনা।
আপনার ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় আপনি যে কোন ধরনের বাদাম যেমন- চিনা বাদামও খেতে পারেন। এই চিনা বাদাম থেকেই যদি আমরা আমাদের চাহিদামত উপাদান সমূহ পাই। আবার বাজারের এই বাদামের দামও তুলনামূলক সস্তা। তাহলে সহজেই আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় এই চিনা বাদাম কে রাখতে পারেন।
জিংক এবং সেলেনিয়াম (সেলেনিয়াম মানবদেহে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট এর কাজ করে এবং শরীরে আয়োডিন নিয়ন্ত্রণ করে) আমরা পাব মাছ, সামুদ্রিক মাছ, শস্য দানা এবং মাংস থেকে।
ভিটামিন- সি এর উৎস হিসেবে আমরা যদি প্রতিদিন খাবারের সময় বিশেষ করে দুপুরের খাবারের সময় অন্যান্য খাবারের সাথে একটা কাঁচা মরিচ বা এক টুকরো লেবু যদি খেতে পারি। তাহলে আমাদের শরীরে ভিটামিন- সি’র যে চাহিদা দরকার থাকে সেটা পূরণ হয়ে যাবে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা রক্ষা ও সৌন্দর্য রক্ষার্থে ত্বককে অবশ্যই হাইড্রেট রাখতে হবে। আর ত্বক হাইড্রেট রাখতে অবশ্যই নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরী। আপনার বারান্দার ফুলের টবে যদি আপনি ঠিকমত পানি না দেন। তাহলে সেই গাছটি কিন্তু মরে যাবে। তেমনি আমাদের ত্বকের খাদ্য হলো পানি।
আমাদের ত্বক পানির অভাবে রুক্ষ হয়ে যায় এবং খুব দ্রুতই আমাদের ত্বকে বলি রেখা চলে আসতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই নরমাল পানি বেশি করে খাবেন। অনেকে ত্বকের যত্নে বেশী বেশী কোমল পানীয় যেমন- জুস, কোল্ড ড্রিংকস, এনার্জি ড্রিংকস ইত্যাদি পান করেন।
এগুলো কিন্তু শুধুমাত্র আপনার পিপাসাকেই নিবারণ করতে পারবে। কিন্তু আপনি জানেন কি ? অতি মাত্রায় এই সমস্ত এনার্জি ড্রিংকস পান আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই এই ধরনের পানীয় আমরা যতটা পারব এভয়েড করার চেষ্টা করব। আপনার ত্বকের সুস্থতাকে নিশ্চিত করতে ও হাইদ্রেড রাখার জন্য আপনি সাদা পানি এবং ফলের জুস খেতে পারেন সব সময়।
অনেক ক্ষেত্রে শরীরের অভ্যন্তরে হরমোনাল ইমব্যালেন্স থেকে বিভিন্ন ধরনের স্কিন প্রবলেম দেখা দিতে পারে। যেমন- হাইপোথাইরয়েডিজম, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) অথবা পিরিওডিক্যাল সময়ে যে হরমোনাল চেঞ্জগুলো যা একটা বাড়ন্ত বাচ্চার শরীরে দেখা যায়।
তার থেকে শরীরের রেশ হওয়া বা ড্রাই স্কিন এবং ত্বকের যে রুক্ষতা বা পিম্পলস (ব্রণ) কিন্তু দেখা যায়। এক্ষেত্রে আপনি একদিকে যেমন সঠিক চিকিৎসা খুঁজবেন। পাশাপাশি একজন চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সাথে সাথে একজন অভিজ্ঞ ডায়েটিশিয়ানের হেল্পও নেওয়াটা প্রয়োজন এই ডিজিজ কন্ডিশন গুলোকে কন্ট্রোল করার জন্য।
আপনার ত্বকের ক্লান্তি দূর করার জন্য অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুম বা বিশ্রাম প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদেরকে সাজেস্ট করবো বা নির্দেশনা হল যে তারা যেন দৈনিক সাত থেকে নয় ঘণ্টা একটানা নিবিড় ঘুম নিশ্চিত করেন। ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
খুব বেশি দুশিন্তায় জড়িয়ে না পড়লে আপনি দুশ্চিন্তাটাকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। কারন অতিরিক্ত দুশিন্তায় শরীর খারাপ করে, খাওয়া দাওয়া কমে যায় এবং ঘুম কম হয়। ফলে আপনার স্কিনে এটার প্রভাব পড়বে। তাই দুশিন্তা মুক্ত জীবন যাপন করুন।
কনস্টিপেশন বা কোষ্ঠকাঠিন্য আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। আপনার স্কিনের হেলথ এর ক্ষেত্রে অর্থাৎ আপনার শরীর থেকে প্রতিদিন নিয়মিত যদি ক্ষতিকর টক্সিনগুলো বের না হয়। সে ক্ষেত্রে ওই টক্সিনগুলো আপনাদের ত্বকের যে স্বাস্থ্য সেটাকে কিন্তু ব্যাঘাত ঘটাবে।
তাই আপনাদেরকে চেষ্টা করতে হবে আপনারা যেন কনস্টিপেইটেড না হই। সেজন্য আপনার খাদ্য তালিকায় বেশি করে ফাইবার জাতীয় খাবার এবং পানিকে রাখার চেষ্টা করবেন।
নখ এবং চুল উভয়ই কিন্তু ক্যারোটিন নামক প্রোটিন দ্বারা তৈরি। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন রাখতে হবে। যদি আপনি আপনার হাত ও পায়ের নখ এবং চুল এর সুস্থতা বজায় রাখতে চান। এর সাথে কিছু মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট অর্থাৎ বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন- ই, ভিটামিন- ডি এবং পর্যাপ্ত পরিমানে কার্বোহাইড্রেট আপনার খাদ্য তালিকায় নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া ত্বক সুন্দর রাখার জন্য জিঙ্ক টাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ত্বক, সুন্দর হাত পায়ের নখ এবং চুলের সৌন্দর্যের জন্য আপনার খাদ্য তালিকাতে বায়োটিন এর সাপ্লিমেন্ট যোগ করাটা অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। কারন এটা খেলে আপনার ওজন বাড়বে না কিন্তু আপনার প্রয়োজনীয় পুষ্টিটুকু আপনি পেয়ে যাবেন।
সব মিলিয়ে আপনি যদি একটি পরিপূর্ণ ব্যালেন্সড ডায়েট নিশ্চিত করতে পারেন। অর্থাৎ যেখানে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, মিনারেল এবং ওয়াটার সব ধরনের উপাদান থাকবে যা আপনাদের শরীরের চাহিদা অনুযায়ী আমি সরবরাহ করতে পারি। তাহলেই দেখা যাবে যে আপনার ত্বক, চুল, নখ, আপনার একটা সুন্দর লুক সহ সবকিছুই কিন্তু সুন্দর থাকবে।
সবকিছুতেই আপনি একটা আলাদা উজ্জ্বলতা দেখতে পাবেন বা ধরে রাখতে পারবেন। পাশাপাশি আপনার আসল বয়স টাকে লুকিয়ে বাহ্যিক দৃষ্টিতে আপনাকে অনেক কম বয়সী হিসেবে সবার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারবেন। যারা সৌন্দর্য পিপাসু আশাকরি উপরে বর্ণিত সাজেশনগুলো ফলো করবেন সুন্দর হবার জন্য এবং সুন্দর একটা গড়ন পাওয়ার জন্য।