আপনি কি চুল ঘন করার উপায় খুঁজছেন ? তাহলে এই টিপসগুলো আপনার উপকারে আসতে পারে। এখানে এমন কিছু ঘরোয়া টিপস বলে দেয়া আছে যা ফলো করে মাত্র সাত দিনেই আপনি আপনার পাতলা হয়ে যাওয়া চুল ঘন করতে পারবেন। তাই অনুরোধ থাকল এখানের পুরো লেখাগুলো মন দিয়ে পড়ার জন্য।
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি ও হরমোনজনিত কারণে আমাদের চুল ঝরে পড়ে। আবার সঠিক ভাবে চুলের যত্ন না নেয়ার কারনেও কিন্তু চুল ঝরে যায়। এভাবে অনবরত চুল পড়তে পড়তে মাথায় চুল পাতলা হয়ে যায়। তাই নিয়মিত চুলের যত্ন নেয়া অত্যন্ত জরুরি। তবে মাথা থেকে চুল ঝরে পড়া হল একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কারণ প্রত্যেক দিন ৫০ থেকে ১০০ টি চুল স্বাভাবিকভাবেই ঝরে পড়ে যায়। তারপর পুনরায় সেই ঝরে যাওয়া স্থানে নতুন করে চুল গজায়।
কিন্তু চুল ঝরে পড়ার পর যদি সেখানে নতুন করে চুল না গজায় তাহলে সেটা হবে অস্বাভাবিক ও চিন্তার বিষয়। আর যদি নতুন চুল গজাত তাহলে চুল পড়তে থাকলেও কোন সমস্যা হতো না। তাই চুল কেন গজায়না সেটা নিয়ে টেনশন না করে বরং চুলের প্রতি যত্নশীল হওয়াটা জরুরী। চুল ঘন করার উপায় কিভাবে ও কি কি উপাদান ব্যবহার করে চুলের যত্ন নিলে চুল ঘন হবে চলুন তাহলে জেনে নেই।
১। অ্যালোভেরাঃ পাতলা চুল ঘন করতে প্রাকৃতিক উপাদান অ্যালোভেরায় রয়েছে অসম্ভব এক রকমের কার্যক্ষমতা। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীতে রয়েছে অসংখ্য ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। যা চুল ঘন করতে এটি খুব কার্যকরী একটি উপাদান। এটি সরাসরি চুলের গোড়ায় ব্যবহার করা যায়। এতে ত্বকের কোন ক্ষতি হয় না।
এজন্য প্রথমে একটি অ্যালোভেরা হতে সম্পূর্ণ রস বা জেল বের করে নিতে হবে। তারপর সেই জেল মাথার স্ক্যাল্পের মধ্যে ঘষে লাগিয়ে নিন। এভাবে বিশ থেকে ত্রিশ মিনিট রাখুন। তারপর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে গোসলের আগেই এটি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে। তাহলে বারবার চুল ধোয়ার ঝামেলায় পড়তে হবে না। অ্যালোভেরা স্ক্যাল্পের মৃতকোষ মেরামত করে চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
⇒ আরও পড়ুনঃ টাক মাথায় নতুন করে চুল গজানোর উপায়।
২। ডিমঃ চুল ঘন করার উপায় হিসাবে আরেকটি ঘরোয়া পদ্ধতি হল ডিম। ডিমে বিদ্যমান প্রোটিন ও সালফার চুলের গোড়া মজবুত করে চুল পড়া কমায় ও চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি বাড়তি সুবিধা হিসেবে পাবেন ঝলমলে ও সিল্কি সুন্দর চুল।
এজন্য একটি বাটিতে একটি ডিম ভেঙ্গে তার সাথে এক চামচ অলিভ অয়েল যোগ করুন। এই দুটি উপাদান ভাল করে মিশিয়ে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভাল করে লাগিয়ে নিন। মিশ্রণটি আপনার চুলের ঘনত্ব ও লেন্থ বুঝে তৈরি করে নিবেন। এরপর চুল ভালো করে পেঁচিয়ে গুছিয়ে শাওয়ার ক্যাপ পরিয়ে ঢেকে রাখুন আধা ঘন্টার জন্য। তারপর চুল শ্যাম্পু করে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়ম করে সপ্তাহে এক দুই বার ব্যবহার করুন।
৩। আমলকিঃ চুল পড়া কমিয়ে এবং নতুন চুল গজিয়ে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে আমলকির উপকারিতা অনেক। আমলকিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের পরিপূর্ণ পুষ্টি দিতে সাহায্য করে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটি চুলের গোড়ায় ত্বকের নিচে গভিরে গিয়ে কোলাজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
এজন্য এক চামুচ আমলকীর গুঁড়ার সাথে এক চামচ লেবুর রস ও এক চামুচ নারিকেল তেল ভালো করে মিশিয়ে প্রথমে প্যাক তৈরি করে নিন। এখন এই প্যাকটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এরপর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। চুল ঘন করার উপায় হিসাবে নিয়ম করে এই প্যাকটি সপ্তাহে দুই তিন বার ব্যবহার করুন।
⇒ আরও পড়ুনঃ চুল পড়ার কারণ ও তার প্রতিকার।
৪। মেথিঃ পাতলা চুল ঘন করতে মেথি খুব কার্যকরী একটি উপাদান। এছাড়া চুল পড়ার সমস্যায় ও চুলের নানাবিধ উপকারিতার জন্য মেথি চুলে ব্যাবহার করা হয়। এখানে মেথি দিয়ে দুটি টিপস বানিয়ে দেখানো হয়েছে। চুল ঘন করার উপায় হিসাবে দুটি টিপসই অত্যন্ত চমৎকার ও কার্যকরী। আপনি চাইলে চুলের জন্য যে কোন একটি টিপস এপ্লাই করে দেখুন। আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।
৪/ক) পাতলা চুল ঘন করতে সপ্তাহে একদিন চুলে মেথি ব্যবহার করুন। সেই প্রাচীনকাল থেকেই নারিকেল তেলের মধ্যে মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই তেল চুলে ব্যবহার করতে দেখা যায়। তবে মেথি এভাবে না রেখে একটি পাত্রে দুই চামুচ মেথি নিয়ে তার মধ্যে পানি দিয়ে সারারাতের জন্য ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন ভিজিয়ে রাখা মেথি দানাগুলো পানি সহ ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে ভালভাবে পেস্ট করে নিন। তারপর এই পেষ্ট আপনার চুলের গোড়ায় লাগিয়ে আধা ঘন্টা রেখে দিন। তারপর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও চুলের বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে দারুণ কাজ করে এই মিশ্রণটি। এটি চুলের স্ক্যাল্পের বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ দূর করে, খুশকি দূর করে এবং চুল মজবুত করে।
৪/খ) মেথি দিয়ে তৈরি এই হেয়ার মাস্কটি আপনার চুলের ড্যামেজকে সারিয়ে তুলে চুলের শাইনি ভাব ফিরিয়ে আনবে। পাশাপাশি যাদের চুল অনেক বেশী ড্রাই তাদের চুলকে অনেক সফট করে তুলবে। সাথে সাথে চুল পড়াকে লক করে নতুন চুল গজিয়ে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করবে। এই একটা মাত্র হেয়ার মাস্ক এর মধ্যেই এই সবগুলো উপকারিতা আপনি পেয়ে যাচ্ছেন।
প্রস্তুত প্রণালীঃ প্রথমে একটি পাত্রে তিন টেবিল চামুচ মেথি নিয়ে নিন। তবে আপনার চুলের লেন্থ অনুসারে মেথি কম বা বেশি করে নিতে পারেন। তারপর মেথির দানাগুলো ভালকরে ধুয়ে নিয়ে এর সাথে কিছুটা পানি মিশিয়ে সারারাতের জন্য রেখে দিন। চাইলে সারাদিন বা ২৪ ঘণ্টাও রাখতে পারেন। তাহলে দেখবেন মেথির দানাগুলো ফুলে পানির রং পরিবর্তন হয়ে মেথির কালারে পরিণত হয়েছে। এই পানিটাই চুলের জন্য খুবই উপকারী।
এখন এর সাথে এ্যাড করুন একটি পেঁয়াজ ও একটি ডিম। পেঁয়াজের রস আমরা জানি নতুন চুল গজাতে ও চুল ঘন করতে সাহায্য করে। আর চুলে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের যোগান দিবে ডিম। এখন এই সবগুলো উপাদানকে একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মিহি করে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর পেস্ট করা হয়ে গেলে এখন এর সাথে মিক্স করুন দুই চামচ লেবুর রস। তাহলে ডিমের গন্ধটা দূর হয়ে যাবে।
আর লেবুতে থাকা ভিটামিন সি চুলের খুশকি থাকলে দূর করে দিবে ও পাশাপাশি চুল সিল্কি হবে। সবশেষে যুক্ত করতে হবে Castor-oil দুই চামুচ। হাতের কাছে Castor-oil না থাকলে অলিভ অয়েল মেশাতে পারেন। তাও যদি না থাকে তাহলে শুধুমাত্র নারিকেল তেল মিশিয়েও নিতে পারেন। এখন সবগুলো উপাদানকে কিছুক্ষণ ধরে ভালো করে নেড়ে মিক্স করে নিন অথবা পুনরায় ব্লেন্ড করে নিন। তাহলে সবগুলো উপাদান প্রত্যেকটির সাথে ভালো করে মিশে যাবে। তারপর মিশ্রণটি পরিষ্কার একটি পাত্রে ঢেলে নিন।
⇒ আরও পড়ুনঃ মাত্র ৩০ দিনে চুল লম্বা করার উপায়।
ব্যবহার প্রণালীঃ মিশ্রণটি তৈরি করা হয়ে গেলে গোসলের এক ঘন্টা আগে আপনার চুলের গোঁড়া সহ সমস্ত চুলের মধ্যে আংগুল ঢুকিয়ে ঢুকিয়ে দিয়ে সেকশন করে করে ভালো করে লাগিয়ে নিন। একদম কোথাও যেন কোন ফাঁক না থাকে। এভাবে ভাল করে লাগিয়ে এক ঘণ্টা রেখে চুলগুলো শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতি সপ্তাহে মাত্র একবার করে মাসে মাত্র চার বার ব্যবহার করলেই আপনি আপনার চুলের ঘনত্ব সহ অন্যান্য উপকারিতা উপলব্ধি করতে পারবেন।
৫। ভিটামিন-ই’র ব্যাবহারঃ ভিটামিন ই চুল পড়া রুখতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। তাই পাতলা চুল ঘন করতে নারিকেল তেলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে লাগাতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন নারিকেল তেলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে চুল ব্যবহার করলে চুলের ঘনত্ব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে।
আরেকটি পদ্ধতি হল এক টেবিল চামুচ নারিকেল তেল ও আধা চামুচ ক্যাস্টর অয়েল এর সাথে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। তারপর এই প্যাকটি আঙুলের সাহায্যে আপনার মাথার চুলের গোঁড়ায় মেসেজ করে লাগিয়ে রাখুন। এভাবে এক টানা এক সপ্তাহ ব্যবহার করুন। তাহলে আপনার মাথায় নতুন চুল গজানো শুরু হবে এবং পাতলা চুল ঘন হওয়া শুরু হতে থাকবে।
চুল ঘন করার উপায় হিসাবে কোন খাবারগুলো খাওয়া বেশী জরুরীঃ
এতক্ষণ আলোচনা করা হয়েছে চুলে বাহ্যিকভাবে ব্যবহৃত কিছু কার্যকরী উপাদান ও টিপস নিয়ে। এখন আলোচনা করছি চুলের সঠিক খাবার বা পুষ্টি নিয়ে। আমরা প্রতিদিন যে খাবারগুলো খাই সেগুলোর মধ্যে চুলের জন্য যে পুষ্টি থাকার প্রয়োজন সেটা না থাকায়ও চুলের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। যেমন চুল পড়ে পাতলা হয়ে যাওয়া অন্যতম। অর্থাৎ চুলের পুষ্টির জন্য আমাদেরকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলস গ্রহণ করতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেই চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি ও চুলের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য রক্ষায় কোন কোন খাবারগুলো খেতে হবে।
প্রথমেই খেয়াল করুন আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার রয়েছে কিনা। প্রোটিন জাতীয় খাবার বলতে ডিম, মাছ, মুরগি এই জাতীয় খাবারগুলো রয়েছে কিনা। আবার অনেকেই আছেন শুধু ভেজিটেবিল খান। তারা তাদের খাদ্য তালিকায় ডাল জাতীয় খাবার, সয়া প্রোটিন, দুগ্ধ জাতীয় বা দুধ থেকে তৈরি কোন খাবার আছে কিনা সেটা বুঝে গ্রহণ করতে হবে।
এরপর আসেন কি পরিমানে খেতে হবে। সাধারনত প্রত্যেকদিন একটি ডিম, দুই তিন টুকরা মাছ সারা দিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। আবার ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের অভাবে বা ভালো ফ্যাটের অভাবে চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। চুলের ঝলমলতা নষ্ট হয়ে যায়। আমরা সচরাচর ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৬ জাতীয় খাবার আমাদের খাবারের মধ্যে পাই না।
তাই দেখা যায় অনেকের মধ্যে চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। তাই প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে থেকে ওমেগা থ্রী ফ্যাটি এসিড গ্রহণের চেষ্টা করতে হবে। আপনার খাদ্য তালিকায় বাদাম, চিয়া সিড ও সামুদ্রিক মাছ রাখতে হবে। এগুলো রেগুলার খেলে আপনার চুলের রুক্ষতা দূর হয়ে যাবে।
এছাড়া আপনি যদি দেখেন যে আপনার চুল প্রতিনিয়ত পড়ে যাচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে গোছা গোছা করে উঠছে তাহলে ধরে নিবেন যে আপনার দেহের যে ইমিউনিটি পাওয়ার ছিল স্কিনের যে ইমিউনিটি পাওয়ার ছিল সেটা কমে গিয়েছে। অর্থাৎ আপনার চুলের যে স্কিন সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা চুলের স্ক্যাল্পে বারংবার আক্রান্ত হচ্ছে। তাই দেহে ইমিউনিটি শক্তিকে বাড়ানোর জন্য বিশেষ করে মাথার ত্বকের ইমিউনিটি সিস্টেম কে বাড়ানোর জন্য খাদ্য তালিকায় একটু মেথির পানি রাখবেন।
মেথি একটি মসলা জাতীয় আয়ুর্বেদিক খাদ্য উপাদান। এই মেথিকে আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। বিশেষ করে মেথি ভেজে বিভিন্ন শাক সবজি ও তরকারিতে দিয়ে রান্না করে খেতে পারেন অথবা মেথি শাক খেতে পারেন নিয়মিত। আবার মেথি গুঁড়া করে পানিতে মিশিয়ে গিলেও খেতে পারেন। এতে করে মাথার স্কিনের ইনফেকশন থাকলে সেটা দূর হয়ে যাবে। সাথে সাথে চুলের গোড়া মজবুত ও পরিষ্কার থাকবে সবসময়।
বিভিন্ন কসমেটিক দোকানে চুলের জন্য বিভিন্ন ধরনের হেয়ার প্যাক পাওয়া যায় বাহ্যিকভাবে চুলে ব্যবহারের জন্য। সেগুলোতেও কিন্তু মেথি দেয়া থাকে। সেগুলো ব্যবহার করেও কিন্তু আপনি উপকৃত হতে পারেন। চুলের স্কিনের সমস্ত ইনফেকশন দূর করতে পারে মেথি। মেথির প্যাক বানিয়ে কিভাবে আপনি ঘরে বসেই চুলের যত্ন নিবেন তা এই আর্টিকেলের শুরুতে আলোচনা করা হয়েছে।
চুল ঘন করার উপায় ও চুলের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা কিন্তু খুবই জরুরি। শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিকঠাকমতো পানির সরবরাহ না পেলে বিশেষ করে চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই প্রত্যেক দিন একত্রে বেশী করে পানি পান না করে কিছুক্ষণ পরপর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
এছাড়া আপনি প্রতিদিন যে খাবারগুলো খাচ্ছেন সেগুলো ঠিকমত হজম হচ্ছে কি না সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ খাবার ঠিকমত হজম না হওয়া বা পেটের গোলযোগের কারনেও চুলের ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই আপনার পেট সবসময় পরিষ্কার রাখুন।
আরেকটি বিষয় হল সময়মত ঘুম। শরীরের সবকিছু ঠিকঠাক মত পরিচালিত হতে হলে শরীরকে রেস্ট দেওয়াটা জরুরি। অর্থাৎ আপনাকে দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। তাহলে আপনার চুল ভাল থাকবে। আশাকরি উল্লেখিত চুল ঘন করার উপায় সমূহ আপনার উপকারে আসবে।